ডেস্ক নিউজ:
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও অনিয়মের অভিযোগে জেকেজি ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনের মামলার সাক্ষী না আসায় রাজধানীর দুই থানার ওসিকে শোকজ করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ অক্টোবর ) মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ কিন্তু সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করে সাক্ষী না আসায় রাজধানীর গুলশান ও খিলগাঁও থানার ওসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি আজাদ রহমান বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে এ আটজনই কারাগারে রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে আরিফ ও সাবরিনাকে মূল হোতা উল্লেখ করে অন্যদের বিরুদ্ধেই জালিয়াতি ও প্রতারণারয় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তদন্তে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।
১২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.