সাধারন মানুষকে নিয়ে আমার কাজ না- সহকারী পরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার কক্সবাজার
দেশের সাধারন মানুষের জন্য জন প্রশাসন আছে। সাধারন মানুষকে নিয়ে আমার কাজ না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে হোটেল কল্লোল এর নিচে কাসুন্দি নামের রেষ্টুরেন্টে একটি গ্রীণ টি বা সবুজ চায়ের দাম রেখেছে ১০৫ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার (৪অক্টোবর) রাতে কক্সবাজারে কিছু পর্যটক এই কাসুন্দি রেষ্টুরেন্টে গ্রীন টি অর্ডার করার পর চা পান শেষে বিল দিতে গিয়ে পর্যটকরা হতবাক হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কক্সবাজার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইনকে মেসেঞ্জারে জানানো হলে তিনি জানান, দেশের সাধারন মানুষের জন্য জন প্রশাসন আছে। সাধারন মানুষকে নিয়ে আমার কাজ না। কেউ যদি ভোক্তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমাদের আইন অনুসারে অভিযোগ ফরম আছে। অভিযোগ দিলে শুনানীর মাধ্যমে অভিযোগ প্রমান করতে পারলে প্রতিকার দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট ছাড়া দেশের আর কোন আদালত বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান নাই যারা অভিযোগ ছাড়াই প্রতিকার দিতে পারে। বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে হাইকোর্ট একটা এর কোন শাখা নাই।
তবে তিনি এটিও জানা এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
আসছে শীত মৌসুম। এই মৌসুমে কক্সবাজারে আসবে প্রতিদিন লাখো পর্যটক। এই পর্টকদের সার্বিক দিক দেখাশুনা করছে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট। সম্প্রতি কক্সবাজারে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টের খাদ্য সামগ্রীর মূল্য তালিকায় কোন ধরনের প্রশাসনিক নিয়ম না মেনে তাদের নিয়ম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করার সুযোগ থাকায় বেশি নিচ্ছে।
এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে কক্সবাজারের একজন পর্যটক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পর্যটক জানান, আমি হোটেল কল্লোল এর নিচে কাসুন্দিতে একটি কফি, ও একটি গ্রীন টি অর্ডার করি।
গ্রীণ টি ও কফি শেষ করার পর বিল আনতে বললে বিল দেখে আমরা দু বন্ধু হতবাক হয়ে পড়ি।
বিলে একটি গ্রীণ টির দাম ধরা হয়েছে ১০৫টাকা।
বিলের পরিমানের উপর সার্ভিস চার্জ যুক্ত করা হয় নিচে। যা দেখে অনেকক্ষণ বিলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কোন ৭স্টার মানের হোটেলে হয়তোবা এতো দাম রাখবে না। যা রীতিমতো ডাকাতি! কোন কথা না বলে চুপচাপ বিল পেমেন্ট করে চলে আসি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.