সাতকানিয়ায় মহাসড়কে কাদায় পিচ্ছিল: পর্যটকদের দুর্ভোগ

 

মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মহাসড়কে ৮ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়ক দিয়ে কয়েক মাস ধরে আবাদি জমির মাটি গভীর করে কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটিচক্র। ফলে মাটি পড়ে বৃষ্টিতে সড়ক কাদায় পিচ্ছিল হয়েছে। (আজ) ২৭ মার্চ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে গাড়ি এগোতে পারেনি। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়াকেরানীহাট থেকে দোহাজারী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশ যানজট সরাতে পিচ্ছিল সড়কে ইটের গুড়ি ফেলেছে।          সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাড়ি যানজটেআটকে পড়ায় সড়ক পথে চলাচলরত পর্যটকরা হেঁটেই গন্ত্যবে যাচ্ছেন। কয়েকটি গাড়ি কাঁত হয়ে আছে।

মরফলার বাসিন্দা মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, কেঁওচিয়া, তেমুহনী ও কালিয়াইশের বিল থেকে একটি চক্র মাটি কেটে মহাসড়ক দিয়ে পরিবহন করায় সড়কে মাটি পড়ে।  আজসকালে সামান্য বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। এস.আলম পরিবহণের সুপারবাইজার এনামুল হক বলেন, মাটি পরিবহণের ফলে বৃষ্টিতে সড়কপিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় যানজটে আটকা পড়েছি ৩ ঘন্টা ধরে। যাত্রীরা নেমে হেঁেট গেছেন। চলতে গিয়ে গাড়ি সড়ক থেকে নেমে যাচ্ছে। সড়ক দিয়ে মাটি পরিবহণ বন্ধ না করলে বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক দিয়ে ইটভাটায় মাটি পরিবহণ করে আসছে ব্যবসায়ীরা। এসব মাটি সড়কে পড়ে শুকিয়েগেলে ১ সপ্তাহ আগে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের দিয়ে পরিস্কার করা হয়েছিল। এরপর সড়কে আবারও মাটি পড়ায় সকালে বৃষ্টির পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টিহয়। হাইওয়ে পুলিশ লোকজন দিয়ে সড়ক থেকে কাদা সরিয়ে ইটের গুড়ি ফেলে যানজটমুক্ত করা হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে, হয়তো বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতো।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.