নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা গ্রামের বাসিন্দা শীর্ষ ডাকাত দলের গড়ফাদার শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন ডাকাতের অত্যাচারে দুশ্চিন্তায় আছেন দুই লাখ মানুষ। ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক পরিবার। আর এসব অন্যায় কর্মকান্ড নিয়ে যারাই প্রতিবাদ করেন তাঁদের উপরও নেমে আসে ঘোর অমানিশা। তাঁদেরই একজন সাংবাদিক সরওয়ার জাহান। সরওয়ারের নিজ বাড়ি গর্জনিয়ার বড়বিলে। তিনি দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার, জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছে। নানা সময়ে শীর্ষ ডাকাত শাহীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় এখন জীবন-মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন সরওয়ার জাহান। ডাকাত শাহীনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরোচনায় মিথ্যা মামলার আসামিও সরওয়ার।
তথ্য অনুসন্ধান বলছে- গর্জনিয়ার থোয়াংগেরকাটা গ্রামের আলোচিত পিতা-পুত্র হত্যা (ডাবল মার্ডার) মামলার বাদি রুমানকে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ডাকাত শাহীন বাহিনী ব্যবহার করছে। একেক সময় একেক জনকে আসামি করছে ডাকাত শাহীন। সর্বশেষ এই মামলায় সাংবাদিক সরওয়ার জাহানকে যুক্ত করার জন্য বাদি রুমানকে দিয়ে আবেদন করিয়েছে ডাকাত শাহীন। ডাকাত শাহীনের বিপুল অর্থের কাছে অসহায় সকলে।
সাংবাদিক সরওয়ার জাহান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- ডাকাত শাহীন তাকে একাধিক মামলায় ফাঁসানোর জন্য তৎপর। বর্তমানে গর্জনিয়ার থোয়াংগেরকাটার জোড়া হত্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এর আগেও তার বাহিনী মিয়ানমার থেকে গরু ও সিগারেট পাচারকালে বিজিবি ও তাদের সঙ্গে গর্জনিয়ার মরিচ্যাচরে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাত শাহীন দলের ডাকাত নেজাম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনা নিয়ে সত্য সংবাদ প্রচার করায় গর্জনিয়ার সমাজসেবক ও সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী ও তাঁকে (সরওয়ার জাহান) আসামি করে আদালতে ডাকাত পরিবারের মাধ্যমে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করান। এর পর একে একে সনওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা করিয়েছে ডাকাত শাহীন। বর্তমানে সরওয়ার জাহানকে হত্যার পরিকল্পনাও করছে ডাকাত শাহীন এমন অভিযোগ তাঁর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে শাহীনুর রহমান শাহীন ওরফে ডাকাত শাহীন। খুন, ডাকাতি, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, একচ্ছত্রভাবে গরু ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, মতের বিরোধ থাকা লোকজনকে এলাকা ছাড়াসহ এমন কোন অবৈধ কাজ নাই সে করে না। বলতে গেলে সীমান্তের জনপদের আতংকের আরেক নাম হচ্ছে ডাকাত শাহীন।
পুলিশের পিসিপিআরের তথ্য অনুযায়ী একটি দুই নয়। সিআর ও জিআর মামলা এবং জিডিসহ প্রায় দুই ডজন মামলার আসাসী ডাকাত শাহীন। তার দুই ডজন মামলার মধ্যে রয়েছে ৮টি ডাকাতি, ডাকাতি প্রস্তুতি ও ছিনতাই, ৪টি মার্ডার মামলা, দুইটি অস্ত্র মামলা, দুইটি মাদক মামলা এবং বাকীগুলো বিভিন্ন থানায় জিডি হিসেবে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গরু ও ইয়াবার চালান লুটের ঘটনা নিয়ে গর্জনিয়ার শাহীন ডাকাত বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু ঘটে। বিজিবির সঙ্গেও কারবারিদের গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক বলেন, খুনসহ একাধিক মামলার আসামি ও ডাকাত বাহিনীর প্রধান শাহীনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। তাঁর নেতৃত্বে গরু ও মাদকের ব্যবসা চলে। সম্প্রতি ডাকাত শাহীন বাহিনীর অস্ত্র প্রশিক্ষক ভিকচান মিয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Mitolyn Good post! We will be linking to this partspacelarly great post on our site. Keep up the great writing