সরকার যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে কাজ করছে – রিয়াজ উল আলম।

 

 

 

খালেদ হোসেন টাপু, রামু 

জাতীয় যুব দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে “যুবকদের জাগরণ, বাংলাদেশের উন্নয়ন” প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রামুতে যুব র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি যুব র‌্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার জেলার শিক্ষাখাতে দু’দুবার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যুব সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এজন্য সকল সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ও জাতির কল্যাণে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশে পরিণত করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সারাবিশ্বের কাছে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। সরকার মধ্যম আয়ের এবং উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।  বাংলাদেশের মূল প্রাণশক্তি আত্মপ্রত্যয়ী যুব উদ্যোক্তারা। যুব সমাজের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কর্মমুখী শিক্ষা অর্জন করে আলোকিত মানুষ হওয়া সম্ভব। এসব যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে। এতে করে বেকারত্ব দূরীকরণসহ সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। তাই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রশাসনসহ সর্বমহলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলি বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন মধ্যম আয়ের এবং উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এখন থেকে যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি আলাউদ্দিন খান, সুপারইভার মির্জা শামীম উদ্দিন আহমদ, সৈয়দুল ইসলাম,  রামু প্রেস ক্লাব কর্মকর্তা সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী যুবক-যুব মহিলাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।  অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.