সমুদ্র সৈকতের বীচ কর্মী শহিদুল্লা রানার চাদাঁবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারন হকাররা।

 

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

বিশ্বের দির্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার এখানে প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে ভ্রমন পিপাসোদের মিলন মেলায় সাগরের গর্জন আর ঢেউয়ের খেলায় হারিয়ে যায় অন্য এক আনন্দে একটু, যানজট শহর ছেড়ে গাড়ির কালো ধুঁয়ায় জীবনটাই যেন অস্থির তাই দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলতে পরিবারের সাবাইকে নিয়ে ছোটে আসে কক্সবাজারে।

আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তার সমস্যা হলেও বর্তমানে পুরো পর্যটন এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে অসংখ্য টুরিষ্ট পুলিশ সমুদ্র সৈকতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে টুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজারে ভ্রমনে আসা সম্মানিত অতিথিদের সেবায়,

সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামার জন্য বর্তমানে দুইটি পয়েন্টকে পর্যটকরা বেশির ভাগ ব্যবহার করে থাকেন, সুগন্ধা পয়েন্ট আর লাবনী পয়েন্ট এই দুইটি পয়েন্টেই বসানো হয়েছে টুরিষ্ট পুলিশের এস্পেশাল তথ্য সেবা কেন্দ্র।

পর্যটকরা যেনো কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় টুরিষ্ট পুলিশরা পালা ক্রমে বাইক নিয়ে সৈকতের বালির উপর দিয়ে ঘুরাঘুরি করে থাকে যেখানে টুরিষ্ট পুলিশের সহকারী এসপি,রায়হান কাজেমী নিজেও সাধরণ পুলিশ মত  ডিউটি করে থাকেন।

বাড়তি কিছু নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে বীচ কর্মী যাদের সূত্রপাত হয়েছিল, ১২বছর আগে ২০০৬,সালে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সমুদ্রসৈকতে দায়িত্বে থাকা কালে ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ ৩-৪জন বীচ কর্মী নিয়োগ দেয়।

সেই সময়ে নিয়োগ পায় খোরশেদ (৩৫) কালাম(৩২)মুফিজ(৩৫) তারা পর্যটকদের সেবায় সবসময় নিজেকে নিবেদিত করেছে বলে সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ীরা যানায় কিন্তু ১বছর আগে নিয়োগ পাওয়া শফিউল্লার চাদাঁবাজি দেখে সৈকতের হকাররা হতভাগ ডিউটি রত অবস্থায় নেইমপ্লেট ধারণ করেনা।

সমুদ্র সৈকত কে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করছে ৭৫% কক্সবাজারের মানুুষ তাই জীবিকার সন্ধানে সৈকতের ভ্রামম্যান হকাররা জেলা প্রশাসকের নিষেধ থাকা শর্তেও পেটের দায়ে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সমুদ্র সৈকতের বীচ বাইক, টিউব, ঝাল মুড়ি, পান বিক্রেতা,সিগ্যারেট,গুড়া চালক,ফটোগ্রাফার সহ হকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন সৈকতে বীচ ম্যানেজমেন্ট কর্তিক নিয়োজিত বীচ কর্মী শফিউল্লাহ রানা তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে,টাকার অংক ২০–২০০টাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈকতের এক ফটোগ্রাফার বলেন এই শফিউল্লাহ্ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের ব্যবসায়ীদের পিছনে লেগে থাকেন।

বীচ বাইক ওয়াটার বাইক ম্যানেজারের সাথে রয়েছে তার গোপন সূত্র সকাল থেকে যতক্ষণ কর্মরত থাকেন শুধু পাগলের মত ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি করে থাকে,কেউ টাকা না দিলে তাকে ধরে নিয়ে নিয়ে যায় ম্যাজিস্ট্রেট সেবা সেলে সেখানে নিয়ে আটকে রেখে জেল জরিমানা ভয় দেখিয়ে আদায় করে ২০০–৫০০টাকা,ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতে।

বাদ নেই ফটোগ্রাফাররাও ঝাউবাগানে ছবি তুলতে গেলে এইখানে তোমাদের অনুমতি নেই বলে ক্যামরাটা নিয়ে শুরু করে বাকবিতণ্ডা শেষ মেষে ৩০০- ৪০০ টাকায় মিলে ক্যামেরা।

আরো যানায় মাঝে মাঝে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয় সে নাকি ম্যাজিট্রেটের অবর্তমানে নিজেই ম্যাজিস্ট্রেট,

তাহার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানায় প্রতিদিন সমুদ্র সৈকতে চাদাঁবাজি করে অনেক টাকার মালিক এখন শফিউল্লাহ্ রানা কলাতলী চন্দ্রিমা এলাকায় নিজের নামে একটি প্লটও ক্রয় করেছ সে।

তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও রয়েছে বীচে অনুমতি বিহীন ৪জন ফটোগ্রাফার রয়েছে তার,শফিউল্লাহ্ রানা বীচ কর্মী তাই কোন কার্ড প্রয়োজন নেই,

হকাররা বলেন বীচ কর্মীর এসব অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কিছুই জানেননা।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.