সমাবেশের অনুমতির দায়িত্ব পুলিশের : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ওয়ান নিউজ ড়েক্সঃ

বিএনপির সমাবেশের অনুমতির দায়িত্ব পুলিশের বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয়া না দেয়া, পিছিয়ে দেয়া কিংবা স্থান পরিবর্তন করতে বলা—এর সবকিছুই নির্ভর করছে পুলিশের ওপর।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া না পেয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। এ দলে আরো ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। তাদের এই অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে সভা-সমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও মানুষের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ যখন ভালো মনে করে, তখনই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। বিএনপিকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ সঠিক নয়। কয়েক দিন আগেও তারা খুলনায় সমাবেশ করেছে।’

বিএনপির নেতারা তো বেশ কয়েকবার সমাবেশের অনুমতির জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ধরনা দিয়েছেন। সেখানে সাড়া না পেয়ে তারা আপনার কাছে এসেছেন। আপনি ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা বলবেন কি?- এ ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ হয়তো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। হয় সমাবেশ পিছিয়ে দিতে বলেছে অথবা স্থান পরিবর্তন করতে বলেছে। এখন আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের জানাব। তবে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে পুলিশের ওপর।’

দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে এখনও সমাবেশের অনুমতি পায়নি দলটি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.