সন্ত্রাসী হামলার জন্য সৌদি আরবকে দোষারোপ করছে ইরান

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ ইরানে আইএসের প্রথম সন্ত্রাসী হামলার জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করেছে, দেশটির সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। এ মুহুর্তে এ দুই দেশের মধ্যে চরম বিরোধপূর্ণ উত্তপ্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। কাতারের সাথে সৌদি আরব ও এর মিত্রদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের পর ইরানের এ অভিযোগ এ অঞ্চলে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গার্ডিয়ান সূত্রে এ সংবাদ জানা যায়।

বুধবারে তেহরানে বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে এবং আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয় এবং আহত হয়েছে আরো কয়েক ডজন । ইরানের সংসদ এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবী প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনীর মাজারে এ হামলা চালানো হয়। হামলার পর ভিডিও প্রকাশ করে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস।

ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান রেজা সেইফুল্লাহাই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলাকারীরা ইরানী নাগরিক বলে জানিয়েছেন। যারা ইরানে আইএসের এ হামলার দায়িত্ব পালন করেছে।

কিন্তু এ হামলার জন্য দেশটির সেনাবাহিনী রিয়াদকে দোষারোপ করেছে, এর মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ”  তএ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়াশীল সরকা্রের  (সৌদি আরব) সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের এক সপ্তাহের পর এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে…অতএব তারা এ হামলার সাথে জড়িত।

এই হামলা দেশকে আরও একতাবদ্ধ করবে বলে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির এক বিবৃতি প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ। তিনি বলেন, “তেহরানে আজকের সন্ত্রাসী হামলা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরো দৃঢ়তর করবে”। তিনি আরো বলেন, “আমরা আবারও প্রমাণ করব যে,    আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এবং আরও শক্তিমত্তার সাথে আমরা শত্রুদের পরিকল্পনা চূর্ণ করে দিব”।

গতকাল চারজন সশস্ত্র হামলাকারী এই গোলাগুলির সূচনা করে। মাজারে আগমনকারী ভক্তদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। তাদের মধ্যে একজন মাজারের সামনের পুলিশ স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালায়। সেই আত্মঘাতী নারী বলে জানা যায়।

ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাজার ঘিরে ফেলে এবং অপর একটি সুইসাইড ভেস্ট নিষ্ক্রিয় করে। একই সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হয়। অপর একজন হামলাকারী সায়ানাইড ক্যাপসুল খেয়ে আত্মহত্যা করে। আর তৃতীয় নারী হামলাকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়।

বেশ কয়েকটি আরব মিডিয়াতে প্রথম দিকে খবর প্রকাশ করা হয় আইএস এ হামলাগুলো চালিয়েছে। কিন্তু আধাঘণ্টা পর সেসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলা হয়।

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.