সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সন্ত্রাসী যারাই হোক, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান। এজন্য থানা পুলিশ ও ডিবি (ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ) কাজ করছে মন্তব্য তার।

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরা সিকদার বাজারে সোমবার (৩১ মে) সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২ সন্ত্রাসী নিহতের ঘটনায় সুপার এসব কথা বলেন।

সোমবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ব্রিফিংকালে তিনি আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান নিজেই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, যে ২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ডাকাতি, মাদক, হত্যা, নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের ইতিমধ্যে সনাক্ত করা হয়েছে, গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখন বলা যাচ্ছেনা।

এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা মামলা দায়ের না করলে রাষ্ট্র বাদী হয়ে স্বাভাবিক নিয়মে হত্যা মামলা দায়ের করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শহরে কিশোর গ্যাং এর অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ কাজ করছে। অনেক কিশোর অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। কিশোর গ্যাংকে নজরে রাখা হয়েছে।

শহর পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং পুলিশের সামনেই খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতো বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নাকছ করে দিয়ে এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, এ প্রশ্নের সাথে একমত হতে পারছিনা। পুলিশ ও সন্ত্রাসী একসাথে অবস্থান নিতে পারেনা। এটা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীতিবিরুদ্ধ কাজ। হয়তোবা পুলিশের তৎপরতা ফাঁকি দিয়ে কোন কোন সন্ত্রাসী সাময়িকভাবে চলাফেরা করার চেষ্টা করে থাকে।

সোমবার ৩১ মে সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরা সিকদার বাজারে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আশু আলী-তারেক গ্রুপের সাথে সন্ত্রাসী শাহেদ-রায়হান গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে শাহেদুল হক (২২) ও মোহাম্মদ রায়হান (২৪) নামক ২ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং হাসান নামক ১ জন গুরতর আহত হয়। আহত হাসান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত ২ জনই শাহেদ গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.