শ্রীলঙ্কার দর্শকদের সমর্থন আদৌ পাবে বাংলাদেশ?

ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ নিজেদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নিদাহাস টি-টুয়েন্টি সিরিজের আয়োজন শ্রীলঙ্কার। অথচ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ স্বাগতিকরা। এই দুঃখ কি আর সহজে ভোলা যায়! সিরিজে ভারতের বিপক্ষে দুই বারের দেখায় একটিতে শ্রীলঙ্কা জিতলেও বাংলাদেশ দুই ম্যাচের দু’টিতেই তাদের হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায়। তার ওপর কি কাণ্ডটাই না হলো শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ শেষ খেলায়! অথচ ভারত-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল ধরে নিয়ে ‘কার পাস’ পর্যন্ত ছাপিয়ে রেখেছিল আয়োজকরা। কিন্তু সব পরিকল্পনাই তাদের পণ্ড। ৭০তম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে বাংলাদেশ যন্ত্রণায় বিদ্ধ করে দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট ভক্তদের। সেই লঙ্কান ক্রিকেট দর্শকরা রোববার ফাইনালে ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য তালি বাজাবে কি? সন্ধ্যায় ম্যাচ শুরুর আগে প্রশ্নটা এখন উঠছেই।

উপমহাদেশের ক্রিকেট ক্রেজ বরাবরই অন্যরকম। এ অঞ্চলের দর্শকদের আবেগটা যে আকাশছোঁয়া। খেলা আর তাই খেলাতে আবদ্ধ থাকে না তাদের কাছে। যে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলা থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের, সেই শ্রীলঙ্কার দর্শকরা বাংলাদেশের জয় কামনা করেন কি করে? তাছাড়া শুক্রবার অঘোষিত সেমি ফাইনাল ম্যাচের ঘটনা প্রবাহে এমন সব বাতাবরণ ছিল যে, দুই দেশের ক্রিকেট যুদ্ধের বীজটাই যেন বপন হয়ে গেছে সেখানে। কে জানে, তা সামনে ডাল-পালা গজিয়ে আরো বিশাল রূপ নেয় কিনা।

সেদিন দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি লেগে যাচ্ছিল। আম্পায়ারের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ থেকে যার শুরু। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানকে ২৫ শতাংশ জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তার জন্য। তারপরও এখনো ভারতীয় আর শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার রোষানল ঝরছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে।

সেদিন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লঙ্কান সমর্থকদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, যা হওয়ার হয়েছে। শ্রীলঙ্কা তাদের বন্ধু। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ফাইনালে তারা লঙ্কান সমর্থকদের সমর্থন পাবেন।

কিন্তু আদৌ সেটা হবে কি? চারদিকের সবকিছু জানান দিচ্ছে, প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম ভারত ও বাংলাদেশ দুই দলের জন্যই নিরপেক্ষ ভেন্যু হলেও বাংলাদেশের জন্য আসলে সেটি প্রতিপক্ষের ভেন্যুই হয়ে উঠবে! লঙ্কানরা এতো দ্রুত সব ভুলবে কি করে?

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.