শৈলকুপায় ৬ কোটি টাকার ১৫টি সেতু নির্মাণের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে মামলা ইউএনওসহ তিনজনকে আদালতে তলব !
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি সেতু নির্মাণের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেছেন একজন ঠিকাদার। এতে ওই দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালত ইউএনওসহ তিনজনকে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
মেসার্স নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মুক্তিযোদ্ধা মো. নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ঝিনাইদহ জজ আদালতে এ মামলা করেন। তিনি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রামীর রাস্তার ১৫ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণের জন্য গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহŸান করা হয়। এর মধ্যে শৈলকুপার ১৫টি সেতু/কালভার্ট ছিল। এ কাজের দরপত্র ১৭ অক্টোবর গ্রহন করা হয়।
নায়েব জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, ওই দিনই ঠিকাদারদের সামনে সব দরপত্র খোলা হয়। কিন্তু এক মাস পর গত ১ ফেব্রুয়ারি দরপত্রের লটারি করা হয়েছে বলে ঠিকাদারদের জানানো হয়, যা আইনের পরিপন্থী। তা ছাড়া যেখানে লটারি হয়েছে বলে বলা হচ্ছে সেখানে ঠিকাদারদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আসলে লটারির নামে দুর্নীতি করা হয়েছে। এ কারণে তিনি মঙ্গলবার ঝিনাইদহ আদালতে আদালতে মামলা করেছেন।
আইনজীবী পারভীন আকতার সালমা বলেন, দরপত্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আইনে আছে, দরপত্র গ্রহনের দিনই সেগুলো ঠিকাদারদের সামনে খুলতে হবে। তারপর ৭ দিনের মধ্যে ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে কার্যাদেশ দিতে হবে। কিন্তু দুর্নীতির আশ্রয় নিতে কালক্ষেপণ করা হয়েছে। তাই ওই দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ চাওয়া হয়েছে।
মামলায় শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।আদালত গতকাল বুধবার কেন এই দরপত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না, সে বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বিবাদীদের নোটিশ দিয়েছেন।
শৈলকুপার ইউএনও দিদারুল আলম বলেন, অধিদপ্তর থেকে লটারির সময় পেছানো হয়েছে। তাঁদের কিছুই করার নেই। লটারির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তাঁর দপ্তরে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা করলে সব প্রমান পাওয়া যাবে। এখানে অনিয়মের প্রশ্নই ওঠে না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.