ওয়ান নিউজঃ
শুটকীতে বিষ মেশালে ছাড় নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ আবদুল আলিম।
তিনি বলেন, বেশী দিন রাখার আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুটকীতে বিষ মেশায়। যা মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর।
শুটকী মহালগুলোতে আমরা তদারকি বাড়াব। কেথাও ক্যামিকেল মেশানোর খবর পেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদনকারীদের সাথে মাছ সংগ্রহকারী, শুটকি ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারী, বেসরকারী কর্মকর্তা, ভোক্তাদের লিংকেজ স্থাপন বিষয়ক কর্মশালায় ডক্টর মোঃ আবদুল আলিম কথাগুলো বলেছেন।
বুধবার (২১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার আয়োজন করে কোস্ট ট্রাস্ট।
সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র মৎস্য অফিসার ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আশরাফুল হক, এডিবি হ্যাচারীর প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান।
বক্তারা শুটকীতে বিষ প্রয়োগের নেতিবাচক দিক, আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের উপর আলোচনা করেন।
এ সময় বক্তারা নিরাপদ শুটকীর জন্য শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও তাজা মাছের উপর গুরুত্ব দেন।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থান করেন পেস প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর তানজিরা খাতুন।
বিষমুক্ত শুটকী উৎপাদনের উপর বক্তব্য রাখেন মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কাদের বাবুল, নাজিরার টেকের শুটকি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মো: জাফর আলম, আতাউর রহমান (কায়সার), মো: সরওয়ার, কোস্টের সাইফুল ইসলাম।
সভায় তারা শুটকীর উৎপাদন, প্রাপ্তি ও বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণে প্রস্তাবসহ মতামত দেন। সেই সাথে বিষমুক্ত শুটকী প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের সমস্যা ও সমাধনের বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.