স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা শুক্রবার বাজার দোকানপাট বন্ধের আদেশে থেমে গেছে শৈলকুপা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন এলাকাবাসী। তাহলে কি শৈলকুপা হীরক রাজার দেশে পরিণত হচ্ছে ? এমনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন এলাকাবাসী।
যেমন ইচ্ছে আদেশ দেয়া হচ্ছে ? সা¤প্রতি শৈলকুপা দোকান মালিক সমিতির এক সিদ্ধান্তে এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী, চাকুরীজিবি, সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে।
সপ্তাহের শুক্রবার সব ধরনের ব্যবসা-বানিজ্য, বাজার-ঘাট বন্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে মাইকিং করে। এতে করে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবসাকেন্দ্র শৈলকুপা। এখানে মানুষ প্রতিদিন বাজারঘাট ও নিত্য প্রয়োজনীয় কর্মাদি সারে কিন্তুু সব দোকান-পাট বন্ধ থাকার নির্দেশে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। বাজারজুড়ে ছোটখাট দোকানও বন্ধ। খুললে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হবে । শৈলকুপা শহরে যারা চাকুরীজিবি তারা সাধারণত ছুটির দিনে মার্কেটে বের হয় নানা ধরনের কেনাকাটা সারতে কিন্তুু শুক্রবার বাজার দোকানপাট বন্ধের আদেশে সব থেমে গেছে। ডিজিটাল এ যুগে এমন আদেশ অদ্ভুত বলে মন্তব্য করেছে সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে নানা খাতে তখন সপ্তাহের একটি দিন পুরো অচল করা হচ্ছে কাদের স্বার্থে ? যারা প্রতিদিন কাঁচাবাজার, চাউল-ডাউল, মাছ-মাংশ কিনে থাকেন সমস্যায় পড়েছেন তারাও। শ্রমিক শ্রেণীর মানুষও পড়েছেন বিপদে তাদের নানান কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরাও শুক্রবারে কম্পিউটার শিক্ষা সহ প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছে না কম্পিউটার দোকানগুলো বন্ধ থাকায়। এদিকে সংবাদকর্মীদের নিত্য প্রয়োজনীয় সংবাদ প্রেরণে বাধার সৃষ্টি হয়েছে এমন আদেশে। শহরের সমস্ত কম্পিউটার দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি । সংবাদ, ভিডিও, ইমেইল করতে পারছে না বলে জানিয়েছে তারা।
শৈলকুপা দোকান মালিক সমিতির এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ যেন গল্পের সেই হীরক রাজার দেশের সিদ্ধান্তর মতো আদেশ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শৈলকুপা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুন্নবী কালু জানিয়েছেন, সিন্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। তবে সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনা করা যায় কি না তার জন্য দু একদিনের মধ্যে আবার ব্যবসায়ী নেতাদের সাথেবসা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.