ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে শরৎকাল। শীত আসতে এখনও তিন মাস বাকি। শরৎকালেই শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে প্রকটভাবে। গত বছরের তুলনায় এবারে শীতের প্রকোপ অনেকাংশে বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে উত্তরাঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়লে করোনা সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, যে কোন সময় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। শীতকালে ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়ার অভ্যাস বাড়ানো এবং পরীক্ষা ও আইসোলেশনের মতো স্বাস্থ্যবিধির কঠোর প্রয়োগের ওপর এ রোগের নিয়ন্ত্রণ কিংবা বিস্তার অনেকটা নির্ভর করবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে উত্তরাঞ্চলে তথা নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ম্যারিল্যান্ড, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, নিউ হ্যাম্পশয়ার, মেইন ও ভারমন্ট এলাকায় শীতকালের আবহাওয়ায় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আর্দ্রতা, সূর্যের তাপ, ভিটামিন ডি এর অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াসহ শীতকালে অন্যান্য ভাইরাস ও ফ্লু জাতীয় শ্বাসকষ্টের রোগের লক্ষণ দেখা দেয় বলে এ সময় মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে শুরুর দিকে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয়ভীতি ছিল, এখন তা আর নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন। মানুষ অনেকটা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছেন। মানুষের এই ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সংক্রমণ বাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, শীতকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা জরুরি। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে।
চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন, করোনা সংক্রমণ এখন কিছুটা কমেছে। তবে একমাস পর বলা যাবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে। সবাইকে মাস্ক পরার ওপর গুরুত্বারোপ করে চিকিৎসকরা বলেন, মাস্ক ব্যবহার করে নিজে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করলে ৮০ ভাগ মানুষ করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তাই সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কিছু দেশকে সফল হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানে নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কোন কোন দেশে দ্বিতীয় দফা শেষ করে তৃতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.