শার্শায় তলবী মিটিংয়ের আহবানে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পর্ক নেইঃ শহিদুল ইসলাম মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শার্শা শাখা’র প্যাড ব্যবহার করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান মিন্নু ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক-১ মোঃ আবুল হোসেন বাবলু পরিচয় দানকারী দুই ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এক জরুরী তলবী সভার আহবান করা হয়েছে আগামী ১১ ফেব্রæয়ারী। এ ধরনের তরবী সভা ডাকার ফলে শার্শায় বিরোধ বাড়বে বলে মনে করেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

এ তলবী সভা দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি উল্লেখ করে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহ্জা এক বিবৃতিতে জানান, গত ২০১৩ সালের ১৯জানুয়ারী সম্মেলনের মাধ্যমে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুকে সভাপতি ও আলহাজ নুরুজ্জামানকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটি জেলা আওয়ামীলীগের কাছে জমা দিয়ে সেটায় ানুমোদন দিবে এটা সাভাবিক। উপজেলা কমিটি জমা দেয়ার আগেই জেলা কমিটির ইচ্ছামত একটা কমিটি আমাদের ঘাটে চাপিয়ে দেয়া হয়। আমরা স্থানীয় কেন্দ্রী পর্য্যায়ে এর প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তৎকালিন জেলা কমিটির সভাপতি আলী রেজা রাজু আমাদেরকে একটা চিঠি দেয়। তাতে উল্লেখ থাকে যে, জেলা কমিটির কাছে আরেকটি কমিটি দেয়া হোক। জেলা কমিটি সমন্নয় করে একটি কমিটি দিবে বলে উল্লেখ করা হয়। সে মতে আমরা জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে কমিটি জমা দিয়েছি। সে কমিটি আজ পর্যন্ত পাশ হয়নি। সর্বশেষ খুলনায় যে সাংগঠনিক পর্য্যায়ের সম্মেলন হয় সেখানে বলা হয় যে সব উপজেলা ওয়ার্ড কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার পর উপজেলা পর্য্যায়ে সম্মেলনে শুধু মাত্র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে নির্বাচিত কমিটি দেয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে তারা সবাই আগামী ১৫ ফেব্রæয়ারীর মধ্যে কমিটি জমা দিতে পারবে। আমরা সেই আলোকে গত ৬ ফেব্রæয়ারী কমিটি জমা দিয়েছি। এবং গত ৮ ফেব্রæয়ারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল সপনের কাছে কমিটি জমা দিয়েছি। সুতরাং আমরা কেবল মাত্র কমিটি জমা দিয়েছি মাত্র। সে আলোকে এখনো পর্যন্ত শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি নাই। যেহেতু শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন কমিটি নাই। যারা এ মিটিং ডেকেছে তাদেরকে বিরত থাকার জন্য আহবান করা হলো।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু এক বিবৃতিতে জানান, যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে কমিটি জমা দেয়া হয়েছে। যা আজো পাশ করা হয় নাই। সুতরাং আমরা জেনে বিশ্মিত হয়েছি জনৈক মোঃ আব্দুল মান্নান মিন্নু ও মোঃ আবুল হোসেন বাবলু মিটিং ডেকেছে যা দলীয় গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। তারা দলের মধ্যে বিñৃঙ্খলার পায়তারা করছে বলে আমরা মনে করছি।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এক বিবৃতিতে জানান, আসলে তো শার্শায় কোন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। সাবেক জেরা সভাপতি আলী রেজা রাজু স্ব-প্রনদিত হয়ে দিয়েছিল। পরে আবার তিনিই শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে বলেছিলেন, আপনারা আরেকটি কমিটি দেন আমরা সমন্নয় করে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি দেব। যে কোন কমিটি করতে হলে জেলা কমিটির কাছে অনুমোদন নিতে হয়। তারা জেলা কমিটির কাছে অনুমোদন রেনয়নি। আর তলবী সভা কিশের ভিত্তিতে। যে কোন পরিস্থিতিকে বা যে কোন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তলবী সভা হয়। এ ধরনের মিটিং করলে দলের মধ্যে বিভেদ বাড়বে। সুতরাং এ ধরনের মিটিংয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই যশোর জেলা আওয়ামীলীগের।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.