নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সদর থানায় দায়েরকৃত শফিউল আজমকে হত্যা চেষ্টা মামলা নং ৪/৭০ এর ১ নং আসামী শহর ছাত্রদল নেতা গোমাতলী এলাকার বহু মামলার আসামী আব্দুরøাহ খানের ছেলে রহিমুল্লাহ খান রানা এবং একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ২ নং আসামী শরীয়ত উল্লাহর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক জাবেদ আখতার এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে। আদালত ১নং আসামীর স্বীকারোক্তি এবং ২ নং আসামীর পূর্বের একাধিক মামলার তথ্যাদি দেখে জামিন নামঞ্জুর করেন বলে জানা গেছে । জানা যায় ,কক্সবাজার জেলার জেলা সমবায় অফিসারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযোগ করেন গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সদস্য নুরুল করিমের বড় ভাই শফিউল আজম। শফিউল আজম সদস্য নুরুল করিমের পাওয়ার অব এটর্নি মূলে অভিযোগের বাদী। ক্ষমতাপ্রাপ্ত শফিউল আজম জেলা সমবায় কর্মকর্তা জহির আব্বাসের অনিয়মের বিরুদ্ধে আসা তদন্ত শুনানিতে অংশ নেন। তদন্তে আসলে গোমাতলির সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী শফিউল আজমকে মেরে গুরুতর আহত করেছে জেলা অফিসে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার( ২৯ জানুয়ারি)সাড়ে বারোটার দিকে কক্সবাজার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবনিয়ার ছড়া জেলা সমবায় অফিস কার্যালয়ে । এরপরে একই ব্যক্তিরা শফিউল আজমকে আবারো কক্সবাজার শহরের পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুন গাছতলা শ্যামলি কাউন্টারের পেছনে সৈকত ভাতঘরে আবারও হামলা করা হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানা একটি আজহার হয় । আজহার উল্লেখ করা হয়েছে গোমাতলী, ৭নং ওয়ার্ড, পোকখালী ইউপি, থানা-ঈদগাঁও এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে শফিউল আজম (৪০)কে সমবায় অফিসের অভিযোগের তদন্তে আসলে উত্তর গোমাতলী, ৭নং ওয়ার্ডের পোকখালী থানা-ঈদগাঁও এর রহিম উল্লাহ খাঁন রানা (২৭), পিতা-এম আব্দুল্লাহ খাঁন, শরিয়ত উল্লাহ (৪৩), পিতা-মৃত আলতাজ মিয়া, ওবায়দুল্লাহ খাঁন হিরু (৩৫), রাকিব খাঁন (২২), উভয় পিতা- আব্দুল্লাহ খান, এম আব্দুল্লাহ খাঁন (৬০), পিতা-মৃত আলতাজ মিয়া, মোসলেম উদ্দিন (৫০), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, নুরুল আজিম (৪৮), পিতা- মৃত খলিলুর রহমান, আবু হান্নান (৪৫), পিতা- আবু বক্কর, অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন। মিলে শফিউল আজমকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে এতে শফিউল আজম গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অভিযুক্তরা তার মৃত্যু হয়েছে এমন মনে করে তাকে ফেলে চলে যায়। পরে ৯৯৯ কল করে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হযেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে শফিউল আজম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসানেন বলে জানান।
শফিউল আজম জানান, রহিম উল্লাহ খান ও তাহাদের ১০ – ১২ জনের জনের সন্ত্রাসী দল আমাকে একদিনে দুই দফা হামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছি। তারা অতিশয় অত্যন্ত খারাপ, অবৈধ অস্ত্রধারী, দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে । জেলা সমবায় অফিসের বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে তারা আমার সাথে শত্রুতা মনোভাব নিয়ে আসছিল। আমি আমার ছোট ভাই গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সদস্য নুরুল করিমের কাছ থেকে মামলা পরিচানার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে জেলা সমবায় অফিসের কার্যালয়ে একটি অভিযোগের বাদী হিসেবে শুনানীতে যাই। উক্ত মামলায় আমি শুনানীতে গেলে ১ম ঘটনার দিন ও সময় ইংরেজী ২৯/০১/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০টার সময় ঘটনাস্থল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তারাবনিয়ারছরা জেলা সমবায় অফিস কার্যালয়ের ২য় তলায় আসামীগণ আমাকে দেখতে পেয়ে সকল রহিম উল্লাহ খান ও তার দলবল নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রথমে আমার কাছ থেকে মামলার ফাইলপত্রাদি কেড়ে নেয়। অতঃপর আমি প্রতিবাদ করলে বর্ণিত সকল সকলে একযোগে আক্রমণ করে অতর্কিত এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারা শুরু করে আমার শরীরে নীলা ফুলা জখম করে। অতঃপর আমি সমবায় জেলা অফিস কার্যালয়ে আশ্রয় নেই এবং বাংলাদেশ পুলিশের জরুরী সেবা “৯৯৯” এ কল করলে কক্সবাজার সদর থানা হতে ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং আমাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। ২য় ঘটনা ঐদিন বিকাল অনুমান ৩.১০ ঘটিকার সময় আমি বাদী ও সাক্ষীগণ দুপুর খাবার খাওয়ার জন্য গেলে সকল আসামীগণ হাতে লাঠি সোঠা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় দলবন্ধে আমাকে সৈকত ভাত ঘরের ভিতর হইতে টানা হেঁচড়া করে ২য় ঘটনাস্থল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের গুনগাছ তলা শ্যামলী কাউন্ডার এর পিছনে সৈকত ভাত ঘরের সামনে নিয়ে আমাকে পুনরায় এলোপাতাড়ি মারধর করে আমার সর্বশরীরে নীলা ফুলা জখম করে। আমাকে আবারো তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি দ্বারা উভয় বাহু, উভয় পায়ে ও হাটুতে এবং বুকে আঘাত করে হাঁড় ভাঙ্গা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ওবায়দুল্লাহ খান হিরু বেলছা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিঠে, উভয় উরুতে বেধড়ক মারধর করে চামড়া ফাঁটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। রাকিব খান, নুরুল আজিম, আবু হান্নান লাকড়ি দ্বারা এলোপাতাড়ি মারধর করে আমার শরীরের বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। মুসলিম উদ্দিন আমার বাম চোখে সজোরে ঘুষি মেরে আঘাত করে। এতে আমার বাম চোখের দৃষ্টিশক্তিহরণ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমার অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমাকে মাটিতে ফেলিয়া চেপে ধরে রহিম উল্লাহ খান ও শরিয়ত উল্লাহ আমাকে গলা টিপিয়া শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
Elevate your website’s quality with ToolBox Hub! Our suite of SEO, text, and image tools is designed to enhance every aspect of your online presence. Make your site irresistible to both search engines and audiences. Experience the uplift with ToolBox Hub today.