রোহিঙ্গা সুন্দরীদের বাঙালি সাজিয়ে পাচার, পুলিশ ও দালাল চক্রের শক্তিশালী সেন্ডিকেট জড়িত।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অসহায় অবলা, মাতা পিতা হারানো সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীরা এখন এক প্রকার বাজারের পন্যের মতই বেচাঁ কিনা হচ্ছে উখিয়াতে।কেউ বেচেঁতো কেউ কেনে, অনেকটাই আইনের চোখে রঙিন চশমা পড়িয়ে ওপেন হাটবাজার। আর এর পেছনে রয়েছে পুলিশ আর দালালদের শক্তি শালী সেন্ডিকেটে,তাদের পেছনে আছে স্হানীয় রাজনৈতিক বলয়। প্রথমে দালাল চক্র সুন্দরী নারীদের খোঁজে বের করে রোহিঙ্গা ক্যম্পে গিয়ে, পরে তাদের দুর্বলদিক বের করে স্হানীয় দালালের মধ্যমে। পরে কৌশলে তাদের বিয়ে কিংবা চাকরীর প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাতেও কাজ না হলে অগ্রিম টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয় সুন্দরীদের হাতে, রাজি না হয়ে উপায় নেই। অনেকে আবার নিজ থেকে ধরা দিচ্ছে দালাল চক্রের হাতে। এখন কথা হচ্ছে এত গুলো চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে এত সহজে কিভাবে নারী পাচার করা হয়, এর পেছনে কারা জড়িত,কাদের হাত থাকতে পারে। আমরা আলোকিত উখিয়ার একটা টিম সেটাই বের করার চেষ্টা করেছি মাত্র। দালাল চক্র বেশি ভাগ সুন্দরীদের পাচারের জন্য টমটম; এবং বাইক ব্যবহার করছেন,প্রথমে সুন্দরীদের বাঙালি বানাতে শাড়ি আর দামি ত্রিপিচ পড়ানো হচ্ছে, পরে টমটম অথবা বাইকে তুলা হয়। এক এক করে চেকপোস্ট পার হচ্ছে নির্ভয়ে, মাঝে মধ্যে কিছু চেকপোস্ট হেটে পার হতে দেখা যায়,
কখনো বা পুলিশের হালকা জেরা, পরিচিত লোকদের ইশারায় গাড়ি ছেড়ে দেন বেশির ভাগই। বাচ্চারাও দেখলে বুজতে পারবে কিছু কিছু অসাধু পুলিশ কি ভাবে নারী পাচারে দালাদের সহযোগিতা করে থাকেন কৌশলে। অভিযোগ আছে পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরিয়ে দিয়েও কাজ হয়নি, চোখের আডাল হলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরীদের কারনটা অদৃশ্য। গত কাল রাত.১০টার এক চরম অভিজ্ঞতার কথা যানায় আলোকিত উখিয়া পত্রিকার সংবাদকর্মী ইসকান্দর মিজান ও নির্বাহী সম্পাদক নিজামউদ্দিন,টেকনাফ থেকে সংবাদ সংগ্রহের কাজ শেষে ফেরার পথে, উখিয়ার-সী-লাইনে রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে,মরিচ্যা চেকপোস্ট পার হতেই এক লোক গাড়ির গতিরোধ করার জন্য সিগন্যাল দেয়,
ড্রাইভার গাড়ি ব্র্যক করে বলেন ওদের ওটাও,তখন গাড়িতে তিন রোহিঙ্গা নারী ওটে একটার বয়স আনুমানিক ১০বৎছর,আর দুজন ছিল যুবতী যাদের বয়স ১৮-২৫ বৎসর ওই লোকটা হেলপার কে বল্লেন, ওদের বিসিক চেকপোস্টের আগে নামিয়ে দিও,তখন সন্ধেহ হয়, আমরা ড্রাইভার কে বল্লাম এদের চেকপয়েন্টে নামিয়ে দিবে।আমাদের কথানুযায়ী তাদের লিংকরোড় পুলিশ চেকপোস্টে নামানো হলো, পুলিশ তাদের প্রশ্ন করল আপনারা কোথাই যাবেন, উঃ তারা বল্লেন আমরা কক্সবাজারের পাহাড়তলি যাবো, ব্যস পুলিশ তাদেরকে রোহিঙ্গা ক্যম্প অথবা আটক না করে, সোজা পাহাড়তলি পাটিয়ে দিল। বিসিক চেক পোষ্টে তখন দায়িত্ব রত ছিলেন, রাশেদ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.