মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে ২০১৭,সালে প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশী কিছু অর্থলোভী রাষ্ট্রদ্রোহী দালালদের মাধ্যমে জন্ম সনদ সংগ্রহ করে পাসপোর্ট নিয়ে এসব রোহিঙ্গারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে বর্তমানেও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
কুতুপালং রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৭১নং
সাইড এ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আহমদের মেয়ে
এ ব্লক ৭১ নং ক্যাম্পের বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গা প্রবাসী আমিনের স্ত্রী,সাজেদা বেগম প্রকাশ (সাজু)দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে চেষ্টা করে আসছিল।
২০১৮,সালে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা আবু নাঈম মাসুম,স্বামীর আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলে,স্বামী রোহিঙ্গা আমিন জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে পারলেও ভোটার আইডি ছিল না তাই পাসপোর্ট পরিচালকের কাছে ভোটার আইডি দিতে পারেনি,কক্সবাজারে সাবেক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুমের বিচক্ষণতায় রোহিঙ্গা প্রমাণ হয়ে যায়,আর কোনোভাবেই কক্সবাজার থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তিন বছর চেষ্টার পর অবশেষে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে সফল হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সাজুর পাসপোর্ট পাওয়া,খোঁজ নিয়ে জানা যায় বোনের জামাই রোহিঙ্গা ছৈয়দ আলমকে,স্বামী হিসেবে ব্যবহার করে ভুয়া নাম ঠিকানায় ঢাকা থেকে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মিশন অনেকটাই সফল হতে চলেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.