রোহিঙ্গা তরুণীরা দালালদের খপ্পরে,  প্রশাসনিক নজরদারী জরুরী।

 

 

নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার। 

চির অবহেলিত মায়ানমার মুসলিম জনগন,  ১৯৭৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে যত শরনার্থী বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তারা কোন না কোন অপরাধ জগতের সাথে জড়িত, বর্তমান প্রেক্ষাপটে  অনেক আরাকান মুসলমান বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে,  তারা বিভিন্ন বয়সের, এদের মধ্যে বেশিভাগ মহিলা হওয়ায় কিছু দালালের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নতুন করে সংকটে পড়েছেন তাদের মেয়েদের নিয়ে, উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ঠাঁই এসব মেয়েদের বয়স ১৪থেকে ২০বছর এদের অধিকাংশই অবিবাহিত, আশ্রয়ের ব্যবস্থা দেওয়ার কথা বলে তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে যাচ্ছেন দালালরা, এমনকি দালালরা কক্সবাজার সহ চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন এসব সুন্দরি মেয়েদের,এ নিয়ে তরুণীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তেমনি আস্থাহীনতায় পড়েছেন তাদের পরিবারও অনুসন্দানে জানা যায়। একটি সিন্ডিকেট টেকনাফের উখিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছে রোহিঙ্গাদের সুন্দরি মেয়ে দেখলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তারা সুন্দরি মেয়েদের

কুপ্ররাচনা দিচ্ছে । রোহিঙ্গা তরুণীদের বলা হচ্ছে নিজ ভিটিতে থাকার জন্য বসত বাড়ী দেওয়া হবে,  তাতে কোন প্রকার টাকা ও দিতে হবেনা, এটাশুধই মানবতার খাতিরে বলা হচ্ছে  আশ্বাস দিচ্ছে ওই সিন্ডিকেট গামের্ন্টসের চাকুরীসহ প্রতিষ্টিত করে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন তারা, উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার মংডু থেকে আসা হামিদুল আজম তার দুই মেয়ে এক ছেলে বড় মেয়ে জান্নাতুলের বয়স ১৮ এবং ছোট মেয়ে পারুলের বয়স ১৪, জান্নাতুল দেখতে খুবই রুপসী হামিদুল বলেন প্রাণের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি  বড় মেয়ে জান্নাতুলের বিয়েও ঠিক হয়েছিল প্রার্শবর্তী একটি ছেলের সাথে আমরা লাম্বারবিল সিমান্ত দিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করি কিন্তু আমার পথে দুইজন লোক তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে, বলেন শহরে নিয়ে যাবে চাকুরীর সুযোগ করে দেবে,  তিনি আরও বলেন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের কাজ করে যাচ্ছি একজন আমার বড় মেয়েকে প্রস্তাব দেন, আমি তাতে রাজী হয়নি, একই অভিযোগ করেছেন টেকনাফের ধামনখালীতে আশ্রয় নেওয়া মধ্যবয়সী নুরতাজ, দুটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন তিনি এক ছেলের বউ এনেছেন, কিন্তু ছোট মেয়ে মনোয়ারাকে ১৬ নিয়ে পালিয়ে আসতে হলো তাকে, এখানেই এসেই যতো বিপদ,  তর সুন্দরি মেয়েকে নিয়ে সে পড়েছে সমস্যায় বাবা হারা মেয়েটি কেমন জানি ভীতস্থ , চেষ্টা করেও কথা বলানো সম্ভব হয়নি মনোয়ারার মা নুরতাজ বলেন,  বাবা আপবারাতো এখানে আমরাতো এখানে কিছু ছিনি না, অন্তত নিরাপত্তায় থাকতে পারি মতো কোথাও ব্যবস্তা করা যায়,?  নুরতাজ বেগম ধড়ে ভিজে অনেকটাই অসুস্ত অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী জানান লম্পটদের পাশাপাশি কিছু দালাল ও রয়েছে সুন্দরি মেয়েদের জাগিয়ে নিতে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিয়ের পস্তাব ও, যা রিতিমতো লোভ  দেখা নো। এমন আরেকজন লিয়াকত আলী তার দুটি মাত্র মেয়ে একটি ছোট অন্যটির বয়স ১৭ বছর মেয়েটির নাম আয়েশা, লিয়াকত বলেন মেয়েকে নিয়ে এসেও বিপদে পিছু ধরে রয়েছে। আমার খুব, ভয় না জানি মেয়েটা হাত ছাড়া হয়ে যায় তাই রাতদিন মেয়ে কে নিজ হাত ধরে রেখেছি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেও শান্তি পাচ্ছি না উখিয়া টেকনাফের তমবু বালুখালী আনজুমান পাড়া, রহমতের বিল ধামনখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোন কারণ ছাড়া কিছু যুবককে মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে দেখা গেছে, এদের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে ও প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় পুলিশ যাব ও বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বিজিবির সংখ্য খুব অপ্রতুল হওয়ায় নিরাপত্তারর প্রকট বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশূঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বাড়ানোর পাশাপাশি নজর দারি বাড়ালে লম্পট দালালদের খপ্পর থেকে বাচঁবে প্রাণে বেচে আসা এসব রোহিঙ্গারা।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.