রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই যাচ্ছিল অস্ত্র, আদালতে স্বীকারোক্তি

ডেস্ক নিউজ:
ইয়াবার বিনিময়ে ঢাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেয়া হচ্ছিল-আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অস্ত্র সরবরাহকারী যুবক আব্দুর রাজ্জাক। রবিবার (১৫ নভেম্বর) মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে বাকলিয়া থানা পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ সিভয়েসকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আব্দুর রাজ্জাক আদালতের নির্দেশে ৫ দিনের রিমান্ডে ছিল। রিমান্ড শেষে বাকলিয়া থানা পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালতের কাছে একপর্যায়ে অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করে।

আব্দুর রাজ্জাক কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আবু ইউসুফের ছেলে। গত ৫ নভেম্বর বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক সহযোগীসহ আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এসময় তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তখন পুলিশকে জানিয়েছিল- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ঢাকা থেকে অস্ত্র সরবরাহ করেন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে সে বিচারকের কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় তার আরও ৩ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এসময় তিনি এটি একটি বড় সিন্ডিকেট বলেও মন্তব্য করেন। -সিভয়েস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.