রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খুলেছে ওআইসি

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খুলতে শুরু করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর উগ্রবাদী বৌদ্ধ ও সে দেশের সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলা অব্যাহত থাকার কারণে ইতোমধ্যে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে সংগঠনটি।

এজন্য ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ এ আল-উসাইমিন নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস এবং জেনেভা এই তিন শহরে অবস্থিত মিশনকে সংস্থার সকল স্থায়ী সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ওআইসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওআইসি মহাসচিবের এই বিবৃতির মাধ্যমে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধের দাবি আরো জোরালো হয়েছে।

শুরু থেকেই ড. ইউসুফ এ আল-উসাইমিন আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ, এই অবস্থা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশটির সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিবৃতিতে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন সদস্য বহির্ভূত রাষ্ট্রসমূহে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় ও মর্যাদা রক্ষায় ওআইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ওআইসি আশা করে সম্প্রতি মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরে আসায় দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর চলমান সহিংসতা বন্ধ হবে এবং তারাও দেশটির অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতো ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীনতা ফিরে পাবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুঃখজনক হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ফিরে আসায় শুধু সুযোগই বাড়েনি, সেই সঙ্গে দায়িত্বও যে অনেক বেড়েছে, তা মিয়ানমার সরকার অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ওআইসি মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘ ও আসিয়ানের সদস্য হিসেবে মিয়ানমার অবশ্যই আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও ঘোষণা অনুযায়ী মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে হিসেবে মিয়ানমারকে অবশ্যই মানবাধিকার রক্ষার সকল চুক্তি ও ঘোষণাসহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানান।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.