নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় জাতিসংঘের ৭৫ তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান ভোজকির (Volkan Vozkir) বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বুধবার (২৬ মে) সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে এক সভায় তিনি এ প্রশংসা করেছেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা শরনার্থী ব্যাবস্থানা নিয়ে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং তাতে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা শরনার্থী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আর্থিক বিষয় এবং তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটি তিনি জাতিসংঘে তুলে ধরবেন বলে জানান। এসভায় বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পের ৪০/৪২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। এসব প্রতিনিধিদের সাথে ভলকান ভোজকির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর জাতিসংঘের ৭৫ তম সাধারণ পরিষদের সভপতি ভলকান ভোজকির বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ারে উঠে গত ২২ মার্চ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প এলাকা পর্যবেক্ষন করেন। বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক সরকারের পরিচালনাধীন হাসপাতালের পূণর্নিমান কাজ অবলোকন করেন।
জাতিসংঘের ৭৫ তম সাধারণ পরিষদের সভপতি ভলকান ভোজকির (Volkan Vozkir) সংক্ষিপ্ত সফরে জাতিসংঘের বিশেষ বিমানযোগে বুধবার ২৬ মে সকাল ৯ টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে শরনার্থী ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান পিপিএম, অতিরিক্ত আরআরআরসি (জ্যেষ্ঠ উপসচিব) মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা নয়ন, জাতিসংঘের কক্সবাজারে কর্মরত সংস্থা সমুহের প্রধানগণ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। কক্সবাজার শহর থেকে ভলকান ভোজকির (Volkan Vozkir) গাড়িযোগে উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্পে যান।
শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান মিয়া সেফকো, বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা সরওয়ার তুরান, শরনার্থী ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত, অতিরিক্ত আরআরআরসি (জ্যেষ্ঠ উপসচিব) মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সুফিয়ান, এপিবিএন এর অধিনায়ক, উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘের কক্সবাজারে কর্মরত সংস্থা সমুহের প্রতিনিধিগণ সাথে উপস্থিত ছিলেন। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজারে সাড়ে ৫ ঘন্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ভলকান ভোজকির তাঁর সফরসঙ্গীরা সহ জাতিসংঘের বিশেষ বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.