সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শারিরিক ভাবে হেনস্থা ও ৬ ঘন্টা আটকে রাখা, পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার। এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এই সংগঠনটি সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী ও সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরে মূলতঃ মুক্ত গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরেছে।
তারা বলেন, সরকারের মন্ত্রণালয় গুলো চুরি ও লুটপাট করে খাবে, কিন্তু লেখা যাবে না। সাংবাদিকরা যাতে সরকারের দূর্ণীতি নিয়ে লিখতে সাহস না করে তার জন্যই রোজিনা ইসলামের এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সাংবাদিক নেতাদ্বয় প্রশ্ন তুলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কী এমন গোপন নথি আছে যা প্রকাশ পেলে জাতির বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে? মূলতঃ তারা নিজেদের চুরি আর দূর্ণীতিকেই আড়াল করতে চাইছে।
ইউনিয়ন সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী ও সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন বলেন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদসহ বহু সাংবাদিককে যখন এই সরকার নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছিল তখন সুবিধাবাদী মিডিয়া গুলো চুপ ছিল। তারা তখন মজা নিয়েছিল। এখন তারা দেখছে, এই সরকারের কাছে কোন সাংবাদিকই নিরাপদ নয়।
এই দুই সাংবাদিক নেতা বলেন, এখন সময় এসেছে সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার। সরকারের দালালি করলে হয়তো সম্পদের পাহাড় গড়া যাবে, কিন্তু সেই সম্পদ নিজে ভোগ করতে পারবেন না। আর সম্মানও পাবেন না। আসুন, সব রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে এক কাতারে এসে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলুন।
সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারী ও আনছার হোসেন কোন ধরণের শর্ত ছাড়াই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.