রোজিনার মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষায় যাচ্ছে

ডেস্ক নিউজ:
দণ্ডবিধি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জব্দ করা দুটি মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিআরও বলেন, আজ দুপুরে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জব্দ করা দুটি মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বিকেলে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এদিকে আজ সকালে একই আদালত রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সেই জামিনাদেশ কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে কাশিমপুরে কারাগারে পৌঁছে। আদেশ পাওয়ার পর পরই মুক্তি মিলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন রোজিনা। পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান।

এ বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজসহ যাবতীয় আলামতকে তদন্তের স্বার্থে আমরা খতিয়ে দেখব। আমরা একটি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রদিবেদন আদালতে দাখিল করতে চাই।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। এ সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনদের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা বলে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে থানায় আনা হয়। গভীর রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয় নথি চুরির মাধ্যমে সংগ্রহ এবং ওই নথি দ্বারা বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.