ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ রোজায় অন্য সময়ের চেয়ে একটি বেশি পানি পান করতে হয়। কেননা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যে কোনো পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। আর তাই ইফতারি আর সেহরি পর্যন্ত বয়স, ওজন আর উচ্চতা ভেদে দৈনিক ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
রোজার সময় অনেকেই পানিশূন্যতার সমস্যায় ভোগেন। পানি শূন্যতার সমস্যা সমাধানে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
রোজায় অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার বর্জন করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত লবণ দেহ থেকে পানি শুষে নিয়ে দেহের পানির চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।
Re-hydrating মিনারেল তথা K+ যুক্ত খাবার সেহরি আর ইফতারে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এসকল খাবার আমাদের দেহ থেকে পানি স্বল্পতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজাতীয় খাবারগুলো হলো খেজুর, আম, কলা ইত্যাদি।
পানি স্বল্পতা রোধ করতে অবশ্যই সেহরিতে চা-কফি পান করা বর্জন করতে হবে। এজাতীয় পানীয় আমাদের শরীরে di-uretics হিসেবে কাজ করে। ফলে আমাদের দেহের পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
প্রতিদিন অবশ্যই সুষমজাতীয় খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর সুষম খাবার আমাদের শরীর ভালো রাখতে এবং শরীরের পানির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
রোজায় অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এজাতীয় খাবার বর্জন করাই শ্রেয়।
রমজান মাসে অবশ্যই অতিরিক্ত তেলে ভাজা ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ এজাতীয় খাবার আমাদের পরিপাক ক্রিয়ায় বাঁধা প্রদান করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.