রুটিন ঠিক থাকছে না? আপনার জন্য করণীয়

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন- لاَ تَزُولُ قَدَمَا عَبْدٍ يَوْمَ القِيَامَةِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ عُمُرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ ، وَعَنْ عِلْمِهِ فِيمَ فَعَلَ ، وَعَنْ مَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ ، وَعَنْ جِسْمِهِ فِيمَ أَبْلاَهُ

“কিয়ামতের দিন বান্দার দুই পা নড়তে পারবে না যে যাবৎ না তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তার হায়াত সম্পর্কে কিসে তা ব্যয় করেছে, তার ইলম সম্পর্কে তার কতটুকু আমল করেছে, তার সম্পদ সম্পর্কে কোত্থেকে সে কামাই করেছে আর কোথায় তা ব্যয় করেছে এবং তার দেহ সম্পর্কে কোথায় তা কাজে লাগিয়েছে।” (তিরমিযী : ২৪১৭)

উপরের হাদিসটিতে আমরা দেখতে পাই কেয়ামতের ময়দানে যে পাঁচটি প্রশ্নের জবাবদিহিতা ছাড়া বনী আদম এক কদমও অগ্রসর হতে পারবে না, তার প্রথম প্রশ্নটিই অনেকগুলো সময়ের সমষ্টি আমাদের যে হায়াত। তাই মুসলমান মানেই সময়কে হেলা ফেলায় কাটানোর কোন সুযোগ তার নেই।

আর সময়কে কাজে লাগাতেই আমরা যারা ভালো কাজের পরিকল্পনা করি, অথবা প্রতিদিন, সপ্তাহ বা মাসের রুটিন তৈরি করি যেন এর উপযুক্ত ব্যবহার করে এবং নিজেকে আরও উন্নত করে ভালো কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া যায় – তারা খুব কমই হয়ত লক্ষ্যপূরণ করতে পারি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রুটিন বা প্ল্যান অল্প ক’দিন গিয়ে আর সেভাবে আগায় না। তাই অনেকে নিয়মিত প্ল্যান করি, বারবার ফসকে গেলেও আরো করি কেননা রুটিন বা প্ল্যানবিহীন দিনগুলোর সময় খুবই নষ্ট হয় আর তেমন কোন কাজই হয় না।

এক্ষেত্রে পরিকল্পনা করা বন্ধ করে দেয়া মানে নিজের পরাজয় নিশ্চিত করা। আমাদের প্রতিটি প্ল্যানমাফিক কাজ আমাদের আপাতত সফলতা না দিলেও অনেকদিন পরে জীবনের পেছনে তাকালে দেখা যায় সেই প্ল্যান করে কাজ করে এগিয়ে যাওয়া পরিশ্রমটুকু আমাদের এমন সব পথ খুলে দিয়ে এগিয়ে আসতে দিয়েছে যা অনেক অনেক বেশি সুন্দর অথচ প্রথম করা প্ল্যানিং-এর মানসিকতা ও বুদ্ধিতে আমরা জানতাম না নিজেকে আমরা এতদূর নিয়ে আসতে পারবো!

তাই কখনো রুটিন করা ও প্ল্যানিং করা বন্ধ করা উচিত নয় বরং নিয়মিত পরিকল্পনা করুন, পরিকল্পনার আপডেট করে আরো উন্নত করুন এবং প্রচেষ্টা করতে থাকুন। পথ দেখানোর মালিক আল্লাহ, তিনি আমাদের অনেক উত্তম গন্তব্যে নিয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.