রাস্তা সংস্কার না দূর্ভোগ?

জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ রিপোর্টার

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তথা মেইন রোড বাজারঘাটা এলাকায় সড়কের দুই মাথায় বেরিকেড দিয়ে চলছে সংস্কার কাজ। এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দূর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজে প্রশ্ন ওঠেছে সর্বমহলে।
আইয়ুব নামের এক ব্যক্তি কাজটি করছেন। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, ঠিকাদার সিডিউল ভঙ্গ করে সংস্কার কাজ করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরে বাজারঘাটা আইবিপি মাঠের রাস্তার মাথা থেকে ফায়ার সার্ভিসের রাস্তার মাথার প্রধান সড়কের উপর ব্যারিকেড দিয়ে খোঁড়াখুড়ি করছে সড়ক। ওই সময় চলাচল করতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ কর্মস্থলে যাওয়া লোকজন। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে যাচ্ছে গন্তব্য স্থলে। সড়কে লেগেই আছে তীব্র যানজট। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতি।
শহরের ট্রাফিক পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কাজ করার পূর্বে তাদের সাথে সমন্বয় করা হয়নি। ‘পিক আওয়ারে’ রাস্তার সংস্কার করছে করছে ঠিকাদার।
তিনি এটিকে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।
শহিদুল ইসলাম, স্কুল শিক্ষক সাহাবুুদ্দিন, জসিম উদ্দিন, শিক্ষার্থী জানে আলম, আবু তাহের, রেজাউল করিম মুন্না, ফাহাদ, রাকিবুল হাসানসহ অনেক পথচারী ক্ষোভের সাথে বলেন, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ঠদের অবিবেচক কাজে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দিনের বেলায় একাজ না করে রাতে করলে এমন অভিযোগ ওঠতোনা।
এব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া সবার সাথে সমন্বয় করে এই কাজ শুরু করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
তিনি জানান, ক্রমান্বয়ে শহরের ৩টি পয়েন্টে ১১৭মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ চলবে। সার্ভে করে ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে আগে কাজ শুরু করা হয়েছে। অবশিষ্ট আরো ২ স্থানে কাজ চলবে।
তবে, তিনি ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে দাবী করলেও বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। শুধু ট্রাফিক বিভাগ নয়, সাধারণ মানুষও চরম ক্ষুব্দ প্রশ্নবিদ্ধ সংস্কার কাজে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.