মোহাম্মদ সরওয়ার জাহান, রামু (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের রামু দুর্গম জনপদ ও অবহেলিত এলাকা গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড হরণখাইয়া শিয়া পাড়া সড়কে হরিণ খাইয়া ছড়ার উপর একটি ব্রিজের অভাবে হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগের অবশেষে অবসান।
বুধবার ৪ই জানুয়ারি বিকেল ৪টার সময় সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেন বিষয়েটি জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে অচিরেই সমাধান করা হবে।
তিনি আরও জানান হরিণখাইয়া ছড়ার উপর একটি ব্রিজের অভাবে প্রায় ৫ হাজার মানুষ চরমভাবে দুর্ভোগার স্বীকার। বিষয়টি গর্জনিয়ার বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার হাকিম পরিবারের সন্তান, কক্সবাজার বসবাসরত দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি নিজামউদ্দিন জেলা প্রশাসককে অবগত করলে বুধবার(৪জানুয়ারী) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক রামু ইউএনও ফাহমিদা মোস্তফাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে রামু ইউএনও ফাহমিদা মোস্তফা বলেন ব্রিজের পাশাপাশি হরিণখাইয়া শিয়া পাড়া সড়কটি ব্রিক সলিনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। ইতিমধ্যে শিয়াপাড়া হরিণখাইয়া – বাইশারী সংযোগ সড়কটি ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল জাব্বারের মাধ্যমে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সসদস্য আব্দুল জাব্বার জানান, মাননীয় সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় হরিণ খাইয়া – শিয়া পাড়া ভায়া থিমছড়ি সড়কটি মাটির কাজ করে গাড়ি চলাচল ও জনসাধারণের চলাচল এবং স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে নির্বিঘ্নেই চলাচল করতে পারছে। আগামীতে জেলা ও উপজেলা প্রসাশনের সার্বিক সহযোগিতায় হরিণ খাইয়া ছড়ার উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এলাকায় অর্থনীতির চাকা ও এলাকাবাসির ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন হবে।
গর্জনিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন জানান, স্থানীয় মেম্বার সাহেব আমাকে কয়েকদিন যাবত এই বিষটি নিয়ে নিউজ করার জন্য বলেন । আমি কক্সাবাজর জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাকে জানিয়েছিলেন । আজকে রামু উপজেরা নির্বাহী কর্তকর্তা নিজে গিয়ে দেখে আসলেন। আমি কৃতঞ্জতা জানাচ্ছি জেলা প্রশাসকের প্রতি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান সমাজসেবক ওমর আলীর উদ্যোগে এলাকাবাসীর সার্বিক প্রচেষ্টায় হরিণখাইয়া ছড়ার উপর একটি কাঠের সাকোঁ নির্মাণ করায় প্রায় ৫ গ্রামের হাজারো বাসিন্দা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রাছাত্রীরা খাল পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারায় কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় স্বস্তির নিঃস্বাস পেলে।তবে বর্ষা মৌসম শুরু হলে আবারও পানিতে ছড়া ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্থানীয়রা একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামাল করছেন।
3 Attachments • Scanned by Gmail
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.