এম. বেদারুল আলম
রামুতে কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা পাহাড় কাটা। সমান তালে চলছে নদী থেকে বালি উত্তোলন। রেলের রাস্তা নির্মাণের নাম ব্যবহার করে এবং চলমান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভরাট কাজে ২০/২৫ টি ডাম্পার লাগিয়ে রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে হরদম মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালী বিশাল সিন্ডিকেট। সরকার দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দৈনিক কোটি টাকার পাহাড়ের মাটি বিক্রি করছে এ সিন্ডিকেটটি ।
রামুর দক্ষিণের ২ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উত্তরের ১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাহাড় কাটা চলছে নির্বিচারে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে চলছে এ মাটি ও বালি বাণিজ্য। সেই সাথে যোগ হয়েছে জোয়ারিয়ানালা বাজারের পাশে ড্রেজার মেশিনে বালি উত্তোলনের হিড়িক। প্রশাসনের অভিযান কাজে আসছেনা। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরির্দশনে মাটি কেটে বিরাণভূমি হওয়ার মত অবস্থা দেখা গেছে রামুর ৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায়। উক্ত সিন্ডিকেটের কারণে রামুর অর্ধশত সবুজ পাহাড় বিরাণভুমিতে পরিণত হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পে মাটি ভরাটের নাম করে জোয়ারিয়া নালা, রশিদ নগর চাকমারকুল, রাজারকুল, ফতেখারকুল ইউনিয়ন যেন বিরাণভূমি। প্রতিদিন ২৫/৩০টির মত ডাম্পার অর্ধশত স্পট থেকে মাটি কেটে পরিবেশ ধংস করছে যার নেতৃত্বে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে দেখা যায়- জোয়ারিয়ানালার সিকদারপাড়া, আশকরখিল, মহিষকুম, মোরাপাড়া, ফরেষ্ট রোড,মাদ্রাসা গেইট, ছাগইল্ল্যাকাটায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে শাহ আলম, মোঃ ইউনুচ, মিজানুর রহমান, আবদু শুক্কুরসহ ৭ জন। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পাশে নদীতে ৫টি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী পুতু সওদাগর, সালেহ আহমদসহ প্রভাবশালী ২ জন নেতা। তারা সকলে দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের সামনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। ফলে তারা নির্বিচারে পাহাড় কাটছে বিনা বাধায়। তাদের মাটি বিক্রির কারণে পাহাড়ে বসবাসরত অনেক অসহায় পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.