রামুতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা!

কফিল উদ্দিন রামু :

কক্সবাজারের ৮ উপজেলা শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যস্তময় উপজেলা হচ্ছে রামু। রামুতেই চলমান রয়েছে সরকারের বিভিন্ন মেঘা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। যার দরুন রামুর সড়কপথগুলো সারাক্ষণ যানজট সরব অবস্থান পরিলক্ষন করা যায়।

কিন্ত বলা বাহুল্য যে, রামুতে রাস্তায় অতিরিক্ত হারে দেখা মেলে সিএনজি,মোটরচালিত টমটম,মিনি টমটম,অটোরিকশা সহ নানা যানবাহনের। এসব যান বাহনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দ্ধার পরিচালিত হচ্ছে,এসব ড্রাইভারদের ৬০% এর অধিক রয়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক,যার ফলে লঙ্গিত হচ্ছে শিশু আইনের। যান বাহন পরিচালনার জন্য সড়ক আইন থাকলে তা প্রয়োগে দেখা যায়না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কে,সড়কে দুইটি আইন লঙ্গিত হলেও নিরব অবস্থানে প্রশাসন। প্রশাসনের নাকের ডগায় সড়কে বাড়ছে নিয়মিত দুর্ঘটনা ছিনতাই,এমনকি গুমের মত ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক নিরবতায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

অপরদিকে চাষাবাদে ব্যবহৃত ট্রাক্টর যখন রাস্তার ট্রলি এতে আর কোন কথা নেই, এতে ও মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব ট্র্যাকটর সড়কে চলার অনুমতি না থাকলেও প্রশাসনের সামনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতীয় ট্রাক্টর। সব মিলিয়ে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত ১৮ মে রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার কাউয়ারখোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ঘটে ভয়ানক এক দুর্ঘটনা। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন ৪ জনেরও অধিক। আহতরা এখনো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে আহতদের পারিবারিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে দিকে সড়কে চালিত ডাম্পার ড্রাইভারদের ও অনেকের লাইচেন্স নাই বললে চলে, তাদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া গাড়ী চালানোই অনেক ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার একটি কারন বলে জানা যায়।
তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে গত ২/৩ মাস আগেও যে ছেলেটি গ্রামেগঞ্জে সুপারি চুরি করতো বা চায়ের দোকানের কর্মচারী সেই ছেলে রাতারাতি হয়ে গেলো ডাম্পার চালক। গত বছরের ২১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় কক্সবাজার – চট্রগ্রাম মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালায় কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষকসহ দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, ফজরের নামাজ আদায় শেষে সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বোঝাই একটি মিনিট্রাক তাদের চাপা দিলে হৃদয় বিদারক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্ঘটনায় আহত হয় আরো এক স্কুল শিক্ষক।

২৪ মে রাত সাড়ে ৯টায় রামুতে –পিকআপ – মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।তারা সম্পর্কে সহোদর মামা ভাগনে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।

সচেতনমহল মনে করেন, যদি প্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ চালক হিসাবে গড়ে তোলে সড়ক আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করা হয়,সেক্ষেত্রে আশা রাখা যায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে,

রামু থানার সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, এই ট্রাক্টর গুলা বাজারজাত করা হয়েছে চাষাবাদে ব্যবহার করার জন্য, কিন্তু তারা অবাধে বিচরণ করছে সড়কপথে,সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা রুজু করেনি, উভয় পক্ষ তাদের চিকিৎসা কাজে একে অপরকে সাহায্য করছে।

সড়কে কি চলতেই থাকবে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, ছিনতাই,এমনকি গুমের মত অসমাজিক কার্যকলাপ?
অন্যতায় প্রশাসন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়কে শৃংখলা ফিরে আনতে পারবে কিনা সোনালীক্ষণ প্রশ্নটা রয়েই গেল।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.