রশিদ নগরে জায়েদ আকবর সড়কের নাম ফলক ভেঙ্গে ফেললো স্থানীয় চেয়ারম্যান

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ২০ বছর ধরে মরহুম জায়েদ আকবর সড়ক নাম থাকলেও এখন সেই নাম ফলক ভেঙ্গে মৌঃ আব্দুল গণির নামে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড়ের পানিরছড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে পানিরছড়া গ্যারেজ হতে নাছিরাপাড়া সড়কের নামকরণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মফিজুর রহমানের নাতি মরহুম শফিউল আকবর এর মেঝ ছেলে মরহুম জায়েদ আকবর নামে নামকরণ করা হয়।
এদিকে শুক্রবার ( ৯ এপ্রিল) সড়কটির নাম বদল করে পানিরছড়া গ্যারেজ হতে নাছিরাপাড়া এলাকায় এলজিইড়ি বাস্তবায়নে মৌঃ আবদুল গণি সড়ক নাম করণ করে উদ্বোধন করে কক্সবাজার -০৩ ( সদর রামু) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সায়মুম সরওয়ার কমল। তবে সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেননি বলে জানান স্থানীয়রা।
তিনি না আসলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম এমপি’র নাম ব্যবহার করে উদ্বোধনী ফলক করে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখানো হয়েছে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, ও ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু শামাকে।

ইউপি সদস্য আবু শামা জানান, সেদিন এমপি মহোদয় আসেননি। তবে এটি মরহুম জায়েদ আকবর এর নামে নাম করণ ছিল তা আমি জানতাম। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম কেন নাম পরিবর্তন করা হয়েছে? তিনি বলেছেন এমপি সাহেব বলেছে বলে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এতে আমার হাত নেই।

এদিকে ৭নং ইউপি সদস্য বজল আহমদ জানান, এই সড়কটি মরহুম জায়েদ আকবর এর নামে ছিল তা আমি জানি। কিন্তু হঠাৎ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে তা আমাকে জানানো হয়নি। এটি চেয়ারম্যান নিজে লাগিয়ে দিয়েছে এমপি আসেনি।

স্থানীয় নুরুচ্ছফা কান্না জড়িত কন্ঠে প্রতিবেদককে জানান, মরহুম জায়েদ আকবর ভালো ছেলে ছিলেন। উনার নামে সড়কটি নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তার ফলকটি ভেঙ্গে মৌঃ আবদুল গণির নামে নাম করণ করা হয়েছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় শহীদুল জানান, ২০০১ সালে মরহুম জায়েদ আকবর সড়ক নামকরণ করেছিল এলাকাবাসি। কিন্তু স্থানীয় কিছ কুচক্রী মহল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে কমিয়ে দিতে নাম বদল করা হয়েছে।
মরহুম জায়েদ আকবর এর পরিবার থেকে জানান, আমাদের পরিবার এই রশিদ নগওে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালটি যেখানে করা হয়েছে তা শেখ মফিুজুর রহমান দান করেছে। রশিদ নগরে স্কুল মাদ্রাসসহ অসংখ্য প্রতিষ্টানে আমাদেও পরিবার জমি দান করেছেন। বর্তমানে মরহুম জায়েদআকবর যে সড়কটি তার অধিকাংশ আমাদেও জমির ইপর দিয়ে এসেছে এবং এই সড়কটি তৎকালিন বৃহত্তর জোয়ারিয়ানানলার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মফিজুর রহমান নেিজ দাড়িয়ে কররেছিল।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, এব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। যদি এমন হয়ে থাকে তবে আমি এলজিইডির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম এর সাথে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কক্সবাজার এলজিইড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.