যশোরে যুবককে পুলিশি নির্যাতন : তদন্ত দল মাঠে

ইয়ানুর রহমান : টাকার জন্য যুবককে যশোর কোতোয়ালি থানার মধ্যে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের দু’টি দল।

 

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ আবু সরোয়ার এবং সহকারী পুলিশ সুপার নাইমুর রহমানের সম্বনয়ে গঠিত টিমটি সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে গিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদিকের সাথে কথা বলেন।

 

এছাড়া পুলিশের খুলনা রেঞ্জ অফিস থেকে তৈরি করা একটি দলও ঘটনা তদন্ত করতে যশোরে অবস্থান করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন তদন্ত টিমের সাথে প্রেসক্লাবে বসে কথা হয় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের। তারা সাংবাদিকদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। ছবির ওই যুবক তালবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আবু সাঈদ কি-না তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা।

 

এ সময় প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন এবং সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এরপর তদন্ত টিম কোতোয়ালি থানায় যায়। বিকেলে সেখান থেকে তালবাড়িয়া গ্রামের আবু সাঈদের সাথে কথা বলেন তারা।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ আবু সরোয়ার বলেন, একটি ছবি এবং নিউজের ঘটনায় হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার ঘটনা তদন্ত করতে একটি টিম গঠন করেছিলেন। সে কারণে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যত দ্রæত সম্ভব রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

এদিকে খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাদের বেগের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম রবিবার থেকে ঘটনা তদন্ত করার জন্য যশোরে অবস্থান করছে।

 

প্রসঙ্গত, আবু সাঈদকে ধরে নিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে দুই টেবিলের সাথে উল্টো করে ঝুলিয়ে ২ লাখ টাকার দাবিতে নির্যাতন করে। পরে আবু সাঈদের পরিবার পুলিশের হাতে ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পায়।

 

আবু সাঈদকে নির্যাতনের ছবি ৬ জানুয়ারি দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে ২৫ জানুয়ারি ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেন। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ মর্মে গত রবিবার রুল জারি করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.