ইয়ানূর রহমান : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক অকাংশের নেতৃবৃন্দ আরেক অংশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
একাংশের নেতা এম এম কলেজের স্বমন্বায়ক মাসুম বিল্লার নেতৃত্ব এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা বলেন আজ ১৫ই আগস্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চার দফা দাবি নিয়ে মাঠে থাকার কথা ছিল।কিন্তু যশোরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমস্বয়ক রাশেদ খান তাদেরকে কর্মসূচী পালন করতে দেননি। এমনকি তাকে কল করলে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করতে এসে নিজেরাই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখন তাদের পাশে অনেক নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে । কিন্তু তারা
আন্দোলনে ছিলেন না, এমনকি তাদেরকে কেউ চেনেন না। ওইসব নেতা পরিচয়দানকারীরা প্রধান সমন্বয়কের নাম করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবি
করছেন। যার দায়ভার কে নেবে বলে প্রশ্ন ছোড়েন নেতৃবৃন্দ। তারা দাবি করেন ওই টাকা প্রধান সমন্বয়কের কাছে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, কেউ এমন
চাঁদাদাবি করলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেটা প্রতিরোধ করব। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ এসেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবো।
আরও বলেন, রাশেদ খান কেন ১৫ আগস্ট এর কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করেছে। আমরা তা জানতে চাই। এর নেপথ্যে অন্য কেউ আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
তারা আরো বলেন, যশোরে আমাদের সংগঠনের কোনো কমিটি নেই। ফলে আমাদের কোনো সমন্বয়ক নেই। আমরা সবাই বর্তমানে সমন্বয়ক। যশোরবাসীর মনে শান্তি ফেরাতে আমরা মাঠে ছিলাম, আছি এবং আগামিতেও থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেসিনা মোরশেদ, রিপা ইসলাম পাখি, হেনা খাতুন, বনি রহমান, তানিম হোসেন, তৌফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ খানের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.