যশোরে থানায় যুবক নির্যাতন রুলের জবাব দিতে পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকায়
ইয়ানুর রহমান : যশোরে যুবককে আটক করে টাকার জন্য উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্র্টের রুলের জবাব দিতে যশোর কোতোয়ালি থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
একই সাথে নির্যাতনের শিকার হিসাবে যার নাম উঠে এসেছিল তালবাড়িয়া গ্রামের সেই আবু সাঈদও বুধবার হাইকোর্টে জবাব দেবেন। কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার তারিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উলেখ, গত ৪ জানুয়ারি রাতে তালবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আবু সাঈদকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে দুই টেবিলের মাঝে উল্টো করে বেঁধে নির্যাতন করে।
এ সংক্রান্ত সংবাদ ও একটি ছবি ওয়ান নিউজ ডট কম ডট বিডিসহ দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার এবং প্রকাশিত হয়। সংবাদে অভিযোগ করা হয় কোতোয়ালি থানার এসআই নাজমুল হোসেন এবং এএসআই হাদিবুর রহমান তাকে নির্যাতন করেন।
ছবি এবং সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। গঠিত হয় একাধিক তদন্ত কমিটি। হাইকোর্ট স্ব-প্রোণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেন।
বলা হয়- আগামী ২৫ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে। পুলিশের আইজি, স্বরাষ্ট্র সচিব, খুলনার রেঞ্জের ডিআইজি এবং যশোর পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ দেন আদালত। একই সাথে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত একটি তদন্ত টিম তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে। ওই টিমে ছিলেন- যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ আবু সরোয়ার এবং ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর
রহমান।
যশোর কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে দুই পুলিশ কর্তকর্তা ঢাকায় গেছেন। যে যুবককে নির্যাতন করার দাবি করা হয়েছে, তিনিও ঢাকায় পৌঁছেছেন বলে জানানো হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.