যশোরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই কলেজছাত্রীর
ইয়ানুর রহমান : যশোরে ট্রাকচাপায় পপি পারভীন (২৫) ও রমেছা খাতুন (২০) নামে দুই কলেজছাত্রী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে যশোর শহরের বকচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্রী ও মনিরামপুর উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে পপি পারভীন ও একই
গ্রামের নূর মোহাম্মদ গাজীর মেয়ে ও মনিরামপুর মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রমেছা খাতুন।
আহত মোটরসাইকেল চালক মনিরামপুর উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের নাসির উদ্দিন গাজীকে (৪৫) যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত রমেছা খাতুনের বোন কোহিনুর খাতুন ও নিহত পপি আক্তারের দেবর মাসুদুজ্জামান জানান, রমেছা দুই মাস আগে পুলিশে চাকরির জন্য পুলিশ লাইনে যাচাই বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিল। সেই সময় তার সার্টিফিকেট জমা রাখা হয়। সোমবার সেই সার্টিফিকেট তুলতে যশোরে এসেছিলেন প্রতিবেশি চাচা নাসির উদ্দিনের মোটরসাইকেলে। তার সঙ্গে ছিল পপি পারভীন নামে অপর একজন কলেজছাত্রী।
পপি কলেজের মাস্টার্স শেষ পর্বের ইনকোর্স পরীক্ষা দিতে এসেছিলো শহরে। কাজ শেষে তারা তিনজন বিকেলে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শহরের বকচর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে দুই কলেজ ছাত্রী মারা যান। মোটরসাইকেলচালক নাসির উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সরকারি এমএম কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল আলম সরদারসহ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, কর্মচারী ও সহপাঠীরা। এরপর স্বজনরা এসে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
যশোর সরকারি এমএম কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সরদার বলেন, নিহত দু’জনের মধ্যে একজন আমাদের কলেজের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী। আর একজন মনিরামপুর মহিলা কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা পরস্পর আত্মীয় বলে জেনেছি। তাদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেনের দাপ্তরিক ফোনে কল দিলে রিসিভ করেন উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ট্রাকচাপায় দুই কলেজছাত্রী নিহত হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.