ইয়ানূর রহমান : মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করতে যশোরে চিকিৎসক স্বাক্ষরিত দুই হাজার ২০০ খালি পাতা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একতা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল থেকে দুই হাজার খালি পাতা ও লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ২০০ খালি পাতা জব্দ করা হয়। চিকিৎসকের তত্ত¡াবধান ছাড়াই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করতে হাসপাতাল দুটি এ প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমানন। এ অনিয়মের কারণে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই যশোর শহরের দড়াটানার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা হচ্ছিল। সেখানে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে ১০ গুণ বেশি নেয়া, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং নির্ধারিত ফিসের মূল্য তালিকা টানানো ছিল না।
এছাড়া মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করতে ডা. শামসুদ্দিন আহমেদ খান স্বাক্ষরিত ২০০ খালি পাতা রাখা ছিল। ডাক্তারের তত্ত¡াবধান ছাড়াই রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার জন্য এগুলো মজুদ করা ছিল। এসব অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার খায়রুজ্জামানের নামে মামলা দিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অপরদিকে যশোরের নামকরা একতা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল ৪০ শয্যার অনুমতি নিয়ে ৬০ শয্যা পরিচালনা করছিল। এ প্রতিষ্ঠানের নার্স ও টেকনিশিয়ানদের কোনো পেশাগত সনদ নেই। অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত কাচিতে মরিচা ধরা, ব্যবহৃত গজ এবং অপরিষ্কার ব্যান্ডেজ ছিল।
শুধু তাই নয়, মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করতে ডাক্তার এটিএম জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুই হাজার খালি পাতা রেখে ছিল হাসপাতালটি। ডাক্তারের তত্ত¡াবধান ছাড়াই রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার জন্য এ প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে সংশ্লিষ্টরা দোষ স্বীকার করেছেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক অংশীদার সিরাজুল ইসলামের নামে মামলা দিয়ে ১ লাখটাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সেলিম রেজা, পেশকার বদিউজ্জামান, র্যাব-৬ ও পুলিশের সদস্যরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.