ইয়ানূর রহমান : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারের পরীক্ষায় আরো ৭৫টি নমুনা করোনা পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা বেশকিছুদিনের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, সোমবার রাতে তাদের ল্যাবে মোট ৩২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের শরীর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ এই নমুনা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ৭৫টি পজেটিভ রেজাল্ট দেয়।
তিনি জানান, পরীক্ষিত নমুনাগুলোর মধ্যে যশোর জেলার ছিল ২৮৯টি। এর মধ্যে ৭০টি পজেটিভ ফল দেয়।
আর মাগুরার ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনটিতে এবং নড়াইলের ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দুটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। পরীক্ষার ফলাফল সংশ্লিষ্ট তিন জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গেল রাতে যবিপ্রবি জেনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়েছিল, যশোরের আরো আট ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এদের কেউই সম্প্রতি ভারতে যাননি।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় করোনা পরিস্থিতি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের তিনটি জেলা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং কুষ্টিয়া রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি এই সাত জেলায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণার কথা বলে আসছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার জানিয়ে দেন, উল্লিখিত জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বা আদৌ নতুন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না তা নির্ধারণ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা।
যশোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যশোরে এখনই ‘কঠোর লকডাউন’ না দিয়ে অন্যভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী গত দুই দিন ধরে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাস্ক পরা, ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। যারা এইসব সতর্কতা মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এতেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে যশোরে ফের ‘লকডাউন’ দেওয়া হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.