যশোরের পল্লীতে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা : ৪ পুলিশ ক্লোজড
ইয়ানুর রহমান : যশোরের কেশবপুরে ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা জনরোষের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে থানার ওসিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন দফাদার জানান, জাহানপুর বাজারের আব্দুল লতিফ নামে ব্যবসায়ীর সার ও মুদি দোকানে হালখাতা চলছিলো। এরই মধ্যে ২৫ ডিসেম্বর রবিবার রাত ৮টার দিকে ভালুকঘর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিজের কাছে থাকা ৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে ওই দোকানে যান।
এরপর তিনি দোকান মালিককে বলেন, দোকানে ইয়াবা রয়েছে, তল্লাশি করবো। এ সময় তিনি নিজের পকেটে থাকা ইয়াবা বের করে দোকানের ক্যাশ বাক্স তল্লাশির নামে বাক্সে থাকা ৮০ হাজার টাকাসহ দোকান মালিক আব্দুল লতিফকে হাতকড়া পরিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় বাজার কমিটির লোকজনসহ স্থানীয়রা পুলিশ দলকে ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে দোকানের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
এ ঘটনা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে কেশবপুর থানা পুলিশকে জানালে রাতেই থানার ওসি সহিদুল ইসলাম সহিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দায়ী এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যান। দোকান থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি সহিদুল ইসলাম সহিদ সাংবাদিকদের জানান, এসপি সাহেবের নির্দেশে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত এসআই ও সঙ্গীয় ৩ পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে যশোরের চৌগাছায় একইভাবে দোকানে ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ওই ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হয় পুলিশের কয়েক সদস্য।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.