মুম্বাইকে শীর্ষে রাখলেন ম্যাকক্লেনাঘান-বুমরাহ

ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ আইপিএলে শনিবার রাতে লো-স্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী হলো দর্শকরা। টি-টুয়েন্টি মানেই তো চার-ছয়ের ফোয়ারা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের মধ্যকার ম্যাচে সেটি কমই হলো। বরং রাজত্ব করলো দুই দলের বোলাররা। যেখানে নিজেদের মাঠে আগে ব্যাট করে ১৪২ রান করেও ম্যাচ জিতে নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাকক্লেনোঘান ও জসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪ রানের জয়ে রোহিত শর্মার দল থাকলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

নিজেদের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে মাত্র ১৪২ রান তুলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দিল্লির বোলারদের সামনে শুরু থেকেই ধুঁকলেন পার্থিব প্যাটেল, নিতিশ রানা, রোহিত শর্মারা। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল ও লোয়ার, কোন পজিশনেই কেউ দাঁড়াতে পারলেন না ঢাল হয়ে। ওপেনার জস বাটলারের করা ২৮ রানটাই দলীয় সর্বোচ্চ হয়ে থাকলো। এছাড়া কাইরন পোলার্ড ২৬ ও হার্দিক পান্ডিয়া করলেন ২৪ রান। দিল্লির অমিত মিশ্র ও প্যাট কমিন্স নিলেন সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৪ রানেই নেই দিল্লির ৬ উইকেট। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কের স্কোর ছুঁতে পারলেন না। তিন তিনজন মারলেন ডাক! তবে ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দিয়ে লড়াই করলেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার কাগিসো রাবাদা ও ক্রিস মরিস। সপ্তম উইকেটে ৯১ রান যোগ করেন এই দুজন। এই জুটি ম্যাচ বের করে ফেলবেন এক পর্যায়ে সেটিই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বুমরাহর বলে রাবাদা ৪৪ করে ফিরলে দিল্লির মিটমিট করে জ্বলতে থাকা সম্ভাবনাও নিভে যায়। এক প্রান্তে ক্রিস মরিস অবশ্য ৫২ রান করে অপরাজিত থাকলেন। ৫টি চারের পাশাপাশি ১টি ছয়ও হাঁকিয়েছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ২০ ওভার শেষে দিল্লি স্কোর থামে ৭ উইকেটে ১২৮ রানে।

ম্যাকক্লেনাঘান ৩টি ও বুমরাহ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ম্যাকক্লেনাঘান।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.