ডেস্ক নিউজ:
আসিয়ান দুই দূতের দূতিয়ালিতে আস্থা বা বিশ্বাস নেই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধীপক্ষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা এনইউজি’র। এর ছায়া উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোয়ে জাওয়া ওও বলেছেন, চার মাস ধরে মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের কোন সুদৃঢ় পরিকল্পনা নেই আসিয়ানের।
আসিয়ানের দু’জন দূত মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে শুক্রবার রাজধানী ন্যাপিডতে সাক্ষাত করেন। তারা হলেন আসিয়ানের মহাপরিচালক লিম জোক হোই, ব্রুনেইয়ে আসিয়ানের চেয়ার ও ব্রুনেইয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মিনিস্টার ইরিয়ান ইউসুফ। তারা মানবিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ যখন স্থিতিশীল হয় তখন একটি নির্বাচন দেয়ার কথা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া আলোচনা হয়েছে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন এবং সেনাবাহিনীর কথিত অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে। বিরোধী দলগুলো বা এনইউজি-এর কোন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এর প্রেক্ষিতে এনইউজি ওই মন্তব্য করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করেন মিং অং হ্লাইং। তারপর থেকে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষ। তাদের ওপর সরাসরি গুলি ছুড়েছে সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৮৪৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। বিরোধী দলগুলো গঠন করেছে এনইউজি।
এর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোয়ে জাওয়া ওও বলেছেন, আসিয়ান যে প্রচেষ্টা নিয়েছে তার প্রতি আমাদের আস্থা নেই বললেই চলে। (তাদের ওপর থেকে) আমাদের সব আশা উড়ে গেছে। ওদিকে এনইউজি’কে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে এবং এর সদস্যদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
এর প্রেক্ষিতে আসিয়ান নিয়ে শুক্রবার মোয়ে জাওয়া ওও বলেন, আমি মনে করি না যে, তাদের বিশ্বাসযোগ্য কোনো সুদৃঢ় পরিকল্পনা আছে। তিনি অনলাইন এক কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছিলেন। কিন্তু তার ওই বক্তব্য মিয়ানমারে সম্প্রচার বিঘ্নিত হয়েছে। কারণ, সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করে দেয় সামরিক জান্তা। দুটি সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক জান্তা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.