মালেশিয়ার নামে সোনাদিয়ার চরেই ৪১রোহিঙ্গাকে রাতের আধারে নামিয়ে দিল মানব পাচারকারীরা

এম,নুরুল কাদের, মহেশখালী কক্সবাজার।

মহেশখালীর সোনাদিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪১ রোহিঙ্গাকে মালেশিয়ার চর নামে সোনাদিয়ার চরে রাতের আধারে নামিয়ে দিল দালাল চক্র। একটি ট্রলার ২৪ নভেম্বর ভোন রাতে সোনাদিয়ার মগচরে ৪১ রোহিঙ্গাদের মালেশিয়া নামে নামিয়ে দিয়ে ট্রলারের মাঝি মাল্লারা ও দালাল মানব পাচারকারী চক্ররা দ্রুত পালিয়ে যায়।

ভোর হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্র্তৃপক্ষের তৈরী কারা মগ চরের বাসার পাশে রোহিঙ্গা নারী পুরুষের জমায়েত দেখতে পায় বেজার নিয়োজিত কর্মীরা। রোহিঙ্গা নারী পুরুষরা জানায় গত ৫দিন পূবে থেকে তাদের কে সাগর পথে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাগরে ঘুরাতে থাকে।

অবশেষে তাদেরকে মালেশিয়ার চর বলে নামিয়ে দেয় দালালরা। সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ সোনাদিয়া চরে পৌছার পূর্বে ১৬জন রোহিঙ্গা স্থানীয়দের সহায়তায় প্যারাবনে ও বিভিন্ন চিঙড়ী ঘেরের খামারে ও বাসা বাড়িতে লুকিয়ে রাখে বলে স্থানীয়রা জানান।

মহেশখালী থানার এস আই নুরুন্নবীর ও এএস আই ফিরোজ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সোনাদিয়ার মগচর হতে ২ শিশু সহ ১৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে মহেশখালী থানায় নিয়ে আসে।

বালুখালী ক্যাম্প, ধুমধুম ক্যাম্প,ও কুতুবপালং ক্যাম্প থেকে তারা দালালের মাধ্যমে ট্রলারের উঠে বলে জানায়,উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন রুমাইনা, পিতা-মোঃ কামাল,মাতা-রেহেনা, সাং-থাংবাজার,থানা-ভুছিদং, জেলা-মংডু, ক্যাম্প কুতুপালং মধুরছড়া ব্লক-বি-৫, ক্যাম্প-১, কুতপালং ১নং ক্যাম্পের মধুরছড়া বি-ব্লক ৫ এর আহমদ উল্লার পুত্র মোঃ অহিয়াজ, কুতুপালং ৩ন ক্যাম্পের ব্লক-বি.বি ২০এর নুরুল হকের স্ত্রী মোহছেনা, কুতুপালং ৩ন ক্যাম্পের ব্লক-বি.বি ২০এর আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র নুরুল হক, কুতুপালং ৩ন ক্যাম্পের ব্লক-বি.বি ২০ এর নুরুল হকের মেয়ে নুর ফাতেমা, কুতুপালং ৩ন ক্যাম্পের ব্লক-বি.বি ২০ এর নুরুল হকের পুত্র আব্দুল হক,ক্যাম্প ২৬ ব্লক, পিজি-২এর আইয়ুজ আহমদের মেয়ে সানজিদা,কুতুপালংক ক্যাম্প রেজিষ্ট্রার ব্লক-সি এর মিয়া হোসেনের মেয়ে ছাবেকুন্নাহার, কুতুপালং ক্যাম্পের ১৭নং ব্লকের জমির আহমদের মেয়ে নুরুজ্জাহান, কুতুপালং বি ব্লকের মোঃ ইউনুছের মেয়ে ইসমত আরা,জামতলি ক্যাম্পের ব্লক এইচ-টু এর মৃত নুর হোছাইনের মেয়ে নুর আকলিমা,মুছনি ২৬নং ক্যাম্পের ব্লক-সি ৫ এর এরশাদ উল্লার মেয়ে আছমা বিবি, থ্যাংখালী ক্যাম্পের ব্লক এ-৫ হারুনর রশিদের মেয়ে নুর কায়দা,কুতুপালং ১নং ক্যাম্পের রাহামত উল্লারমেয়ে শামশুন্নাহার,কুতুপালংক ক্যাম্পের ব্লক এএ ১৩এর আজিজুর রহমানের মেয় সানজিদা, কুতুপালং ক্যাম্পের ব্লক এ-২, বি-৫ এর আমান উল্লার মেয়ে রুজিনা, বালুখালী ক্যাম্পের ব্লক-ডি-৩এর কামাল হোসেনের পুত্র জন্নাত উল্লাহ,বালুখালী ক্যাম্পের ৮ ব্লক-বি-৫ এর আব্দুল মোনাফের ছেলে মোঃ আজম, কুতুপালং ক্যাম্পের ব্লত জি ওমর আলীর ছেলে মোঃ জোবাইর, বালুখালী ক্যাম্প-৮,ব্লক-বি ৩৬ এর মোঃ আলীর পুত্র নাজিমুল হক,দুমদুম মিয়া ২৭নং ক্যাম্পের ব্লক-সি এর আব্দু শুক্কুরের পুত্র হুবাইব উল্লাহ,দুমদুম মিয়া ২৭নং ক্যাম্পের ব্লক-সি-১০এর আব্দু সালামের পুত্র মোঃ কাইছার আলম, নয়াপাড়া ৫নং ক্যাম্পের ব্লক-বি ওসমান গণির পুত্র নুর হোছন,রিফুজি ক্যাম্প নয়াপাড়া ব্লক বি এর ছৈয়দুল ইসলামের পুত্র মাহাবুবুর রহমান, বালুখালী-১/৮নং ক্যাম্প এর ব্লক-৩৫ এর সফিক আহমদের পুত্র মোৎ আনছার, সোনা দিয়ার চরে ৪১জন রুহিঙ্গা ট্রলারে নামিয়ে দেওয়ার মধ্যে ২শিশু ১২মহিলা ১১ জন পুরুষ সহ মোট ২৫ জনকে উদ্ধার করেন।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানায়,উদ্ধারকৃতদের সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মালেশিয়ায় মানবপাচার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাচাই বাচাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.