মানবাধিকার কর্মী ব্যক্তি রোষানলে পড়ে হাজতে অবিলম্বে মুক্তি চান এলাকাবাসী

 

সংবাদদাতাঃ
রোজিনা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রোষানলে শিকার হয়েছে।  রোজিনাকে মিথ্যা দিয়ে ফাসানো হয়েছে প্রকৃত পক্ষে রোজিনা একজন মানবাধিকার  কর্মী  ও সমাজ সংগঠক। চোরাকারবারি, পতিতা ব্যবসায়ী সহ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোধী  অবস্থান থাকায় তাকে রাস্তা থেকে সরানো জন্য মামলার বাদী আয়েরা বেগম আইনকে ভুল তথ্য দিয়ে ভিন্ন পথে পরিচালনা করছে, কথা গুলো মুটোফোনে প্রতিবেদকে বলছিলেন গ্রেফতার হওয়া পূর্ব কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার রোজিনা আক্তারের অসহায় স্বামী ইলিয়াস। জানা যায়  কুতুবদিয়া পাড়ার আয়েরা বেগম নামের এক মহিলা ৬ ফেব্রুয়ারি রোজিনা আকতারের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা নং-২৯/১৪৯। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামির মধ্যে রোজিনা ৩ নম্বর আসামি।জানা যায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী ভোরে পৌরসভার কুতুবদিয়া পাড়াস্থ নিজ বাড়িতে ঢুকে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা রোজিনার ওপর হামলা করে।
মোঃ হোসেন প্রকাশ বৈদ্য হোসেন, রফিক প্রকাশ ইয়াবা রফিক, আবছারসহ একদল দুর্বৃত্ত ঘটনায় জড়িত বলে রোজিনার স্বজনেরা জানিয়েছে।
এদিকে রোজিনার স্বামী ইলিয়াসের দাবী, তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য দুর্বৃত্তরা হামলা করেছিল। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন। তার স্ত্রী অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে সব সময় হুমকির মুখে থাকতে হয়।
পৌর সভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, মানবাধিকার কর্মী রোজিনা প্রকৃত পক্ষে একজন মানবাধিকার কর্মী মানবতার কাজ করে। তাই সে কিছু সমাজের অসৎ ইয়াবা কারবারি চোরাকারবারিদের আতংক হওয়ায় তাকে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে।
তিনি আরো জানান আবছার এর বোন আয়েরা বেগম বাদী হয়ে রোজিনা সহ আমার বিরুদ্ধে  মামলা করেছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট,  আমার বাড়িতে হামলা করে আমরা যেন মামলা করতে না পারি তার আগেই গিয়ে সুদি আবছার তার বোনকে দিয়ে মামলা করেছে যেন আমরা আইনি সহায়তা নিতে না পারি।  এদিকে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান রোজিনা আক্তার একজন মানবাধিকার কর্মী তাই তার কাছে অনেক অভিযোগ আসে আর এই এই অভিযোগ গুলো দেখতে গিয়ে সমাজের কিছু অবৈধ কাজে লিপ্ত লোকজন তার শত্রুতে পরিনত হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় আবছার এর বোন মামলার বাদী আয়ে রা বেগম কিছুদিন আগে এলাকার কিছু যুবতীদের দিয়ে কলাতলী এলাকায় অবৈধ কাজে নেমে পড়ে এটি এলাকাবাসী জানতে পারলে রোজিনার নেতৃত্বে ঐসব মেয়েদের উদ্ধার করা হয়, যার ফলে রোজিনা
আয়েরা বেগমের  শত্রুতে পরিনত হয় এবং রোজিনাকে তখন দেখে নেয়ার হুমকি দেন। আয়েরা বেগম। এদিকে গ্রেফতার হওয়া রোজিনার স্বামী আরো জানান,  আমার স্ত্রী ব্যক্তি রোষানলে শিকার, তাদের অবৈধ ব্যবসার বাধা হওয়ায় আজকে তাকে হাজতবাস করতে হচ্ছে।  পূর্ব কুতুবদিয়া পাড়া সমাজ কমিঠির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী  জানান রোজিনা আক্তার শান্ত ও ভদ্র ঘরের সন্তান তার পিতা আওয়ামীলীগ একনিষ্ট কর্মী ছিলেন এরই উত্তরসূরি হিসাবে রোজিনা আওয়ামীলীগের সাথে ও যুক্ত আছে,সে লকজন প্রতিবাদী নারী হওয়ায় তার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় অবিলম্বে রোজিনার মুক্তি চান, যদি রোজিনার মুক্তি না হয় তবে গ্রামবাসী বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.