ফারুক আহমদ, উখিয়া:
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা পাচার রোধকল্পে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, উখিয়ার সীমান্ত এলাকাগুলোতে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য পাচার রোধে পুলিশের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে এবং মাদক কারবারিদের তালিকা করে তাদের রেকর্ড চেক করে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উখিয়া থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
কক্সবাজারে সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসবো। মাদকের জোন খ্যাত উখিয়া ও টেকনাফ থানাকে বিশেষ মনিটরিং করা হবে। একই সাথে অবৈধ অস্ত্র তৈরী ও সরবরাহ বন্ধে মহেশখালীতেও নজরদারি বাড়ানো হবে।
ডিআইজি আরও বলেন, পুরাতন সব টিমকে বদলী করা হয়েছে। দৃঢ় মনোবল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে পুলিশের যে ভূমিকা আছে সেটি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে নতুন টিম।
থানায় কোন দালাল ঘেঁষয়ে দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে ডিআইজি সাংবাদিকদের বলেন, থানার কিনারায় কোন দালালকে আসতে সাহস করবেনা। দালালরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় পাবে না। যদি কোন অনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে কেউ আসে বা কেউ তদবির করতে আসে তবে তাদের আটক করা হবে।
কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ডিআইজি বলেন, এখন থেকে আর কোন কমিউনিটি পুলিশের প্রয়োজন নেই। কমিউনিটির সকল নাগরিক কমিউনিটি পুলিশের সদস্য। অপরাধ দমনে ও মাদক নির্মূলে সকল নাগরিক পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাল কাজ করতে হলে ভাল লোক দরকার। সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, টাউট-বাটপার, চোরাচালানি, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, পুলিশের দালাল, থানায় গিয়ে যারা দালালি করে এমন যারা কমিউনিটি পুলিশে যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধেও আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিউনিটি পুলিশে আগাছা বেশী হলে প্রয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং পুরো ইউনিট বাদ দেওয়া হবে।
এ সময় কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাকিল আহমেদ ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সঞ্জুর মোরশেদসহ সকল অফিসার গণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.