ডেস্ক নিউজ:
প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে আরেকটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে এই বন্দর নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে নতুন বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। ২০২৬ সাল নাগাদ নির্মাণ শেষ হয়ে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য জাফর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রোল মডেল অনুসরণ করে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আট লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে বন্দরটি নির্মিত হবে। বন্দরের টার্মিনালে ৮ থেকে ১০ হাজার কন্টেইনার বহনকারী বড় হাজার ভিড়তে পারবে। যা দেশের অর্থনৈতিক সম্ভবনা আরও সমৃদ্ধ করবে।
জাফর আলম আরও বলেন, সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানের নিপ্পন কোয়ে নামে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভবে কাজ শুরু করেছে। ডিজাইন, সুপারভিশন, মনিটরিং, টেন্ডারে সহায়তা এবং পরবর্তী ওয়ারেন্টি পিরিয়ড মিলিয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ইতোমধ্যে জাপানের অর্থায়নে বন্দরের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষ হয়েছে।
জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার ঋণ সহায়তায় মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। শুধু বন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের ২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে ২ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ পাওয়া যাবে দশমিক এক শতাংশ সুদে জাইকা থেকে।
বন্দর নির্মাণে নিযুক্ত জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়ের প্রধান হিরোশি ওতানি বলেন, তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম ধাপে বন্দরের ডিজাইন এবং অন্যান্য সিভিল ওয়ার্ক করা হবে। পরে জাপানের প্রযুক্তি সহায়তা কাজে লাগিয়ে হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংগ্রহসহ নির্মাণ কাজ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.