মহেশখালী থেকে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ আটক-২

ওয়ান নিউজঃ মহেশখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী গ্রাম সংলগ্ন গহীন জঙ্গল থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে অভিযান শুরু করা হয়। সেখান থেকে ২২ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ শতাধিক গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে দুইজন অস্ত্র কারিগরকে।

আটককৃতরা হচ্ছে, ছাট মহেশখালী ইউনিয়নের মৃত আজম উল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুল মাবুদ (৪০) ও একই এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৪২)। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দেশীয় তৈরি ১৪টি একনলা বন্দুক, ৬টি ওয়ান শ্যুটার গান, ১টি থ্রি কোয়ার্টার বন্দুক, ১টি দেশীয় রাইফেল, ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৪ রাউন্ড ৩০৩ রাইফেলের গুলি, ১ রাউন্ড শর্টগানের গুলির খোসা।

এ ছাড়া অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ড্রিল মেশিন, ৩টি বন্দুক তৈরির পাইপ, ১৫টি হেসকু ব্লেড, ৫টি রেত, ২টি প্লাস, ১টি এয়ার মেশিন, ৫টি ছেনা ও ১টি শাণ-পাথর উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য মতে র‌্যাব-৭ জানতে পারে যে, পাহাড়তলী গ্রামের গহীন পাহাড়ী জঙ্গলে কতিপয় সংঘবদ্ধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্র তৈরীর কারিগর দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করছে। এসব অস্ত্র স্থানীয় সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা, জলদস্যু, ডাকাতদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। এই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার হচ্ছে অপরাধ মূলক কর্মূকান্ডে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আটক দুই কারিগর পালানোর চেষ্টা করলে প্রথমে তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে কারখানা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

আটক আব্দুল মাবুদ (৪০) জানায়, ২০০৬ সালে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ র‌্যাব-৭ এর কাছে গ্রেফতার হয় এবং ০৪ বছর কারা ভোগ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

র‌্যাব -৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে মহেশখালী থানায় সোপর্দেও প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.