ভেসে উঠেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন

কক্সবাজার

# জেলায় ৯৩ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি
# ১২ কোটি টাকার লোকসান
# বিকল্প উখিয়ারঘোনা সড়ক করার আহবান
মো. নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার
কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙে গেছে।
চকরিয়া, ঈদগাও, রামু উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের গর্জনিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজার থেকে বাইশারী সংযোগ সড়ক, এলজিইড়ির গর্জনিয়া থেকে নতুনবাজার হয়ে বাইশারী সংযোগ সড়ক , এলজিইড়ির গর্জনিয়া বাজার থেকে তিতারপাড়া হয়ে সিমান্তে যাওয়ার সড়ক , এছাড়া উখিয়া টেকনাফ, চকরিয়াসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এগুলো ভেঙে গেছে। বর্তমানে গর্জনিয়া থেকে পাবর্ত্য এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে রামু যাতায়াতের সড়কটি বেশ নাজুক হয়ে গেছে বন্যার কারণে । বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গেছে ।এই সড়কের বিকল্প বটতলী হয়ে উখিয়ারঘোন- রামু সড়কটি করারও আহবান জানান স্থানীয়রা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়ক যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে। জেলায় দেড় শত কিলোমিটারের সড়ক বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে, সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। দ্রæত সময়ে সড়কগুলো মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডি সূত্র জানা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ৯৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট। এসব সড়ক ও সেতু ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক ১২ কোটি টাকার মতো। তবে এখনো পুরোপুরি হিসাব পাওয়া যায়নি, কারণ বিভিন্ন জায়গায় সড়কের ওপর এখনো পানি। ঈদগাও , রামু চকরিয়া উপজেলার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বন্যায় আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি যেভাবে ক্ষতি হয়েছে ঠিক এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সড়কের।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় গর্জনিয়াতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এলজিইড়ির গর্জনিয়া বাজার থেকে নতুনবাজার হয়ে সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে একই ডিপামেন্টের গর্জনিয়া থিমছড়ি হয়ে বাইশারী সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। তিনি আরো বলেন । ঐতিহাসিক শাহসোজা সড়কটি যদি সংসংস্কার করা হয় তবে ভবিষ্যতে মায়ানমার বানিজ্যচুক্তিতে কাজে আসবে। এই সড়ক করতে কোন অধিগ্রহণ করা লাগবে না এই সড়কের ঐতিহাসিক মগা জরিপ সিলা,সিএস, আর এস ও এম আর আর জরিপ সড়কটির নিজস্ব সম্পদ। এই সড়কটি সিমান্তের ৪৭ নং খুটি থেকে আকিয়াব,আমতলী, বটতলী হয়ে খুটাখালী হয়ে শেষ হয়েছে সড়কটি। যদি বন্যা হয় তবে এসব সড়ক ক্ষতি হবে না যদি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বন্যার সময় সব সড়কে পানিউঠে বিধায় যাওয়া আসা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গর্জনিয়া উখিয়ারঘোনা হয়ে রামু নংযোগ সড়কটি যদি বাস্তবায়ন করা হয় তবে বন্যা হলেও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যাবে কারণ এই সড়ক উচু জায়গাতে হওয়ার কারণে বন্যার পানি উঠবে না।
এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন খান,এলজিডির ৯৩ কিলোমিটার ও বেশ কিছু ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় ১২ কোটি টাকা হবে। আমরা শ্রীগ্রই কাজ শুরু করবো।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, কক্সবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। বন্যার পানির কারণে যেসব জায়গার কিছু গর্ত হয়েছে তা আমরা বন্যার পানি কমলেই বিটোমিন দিয়ে ঠিক করে দিবো। এখন যেহেতু পানি আছে যার কারণে বিটোমিন ব্যবহার করা যাবেনা ।

  1. twinklecrest বলেছেন

    Usually I do not read article on blogs however I would like to say that this writeup very compelled me to take a look at and do so Your writing taste has been amazed me Thanks quite nice post

  2. TinyURL বলেছেন

    Hi, I’m Jack. Your blog is a treasure trove of valuable insights, and I’ve made it a point to visit daily. Kudos on creating such an amazing resource!

মন্তব্য করুন

আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্র রিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোন মন্তব্য বা বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোন ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য বা বক্তব্য সংশোধনের ক্ষমতা রাখেন।