ভাস্কর্য ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর

ডেস্ক নিউজ:
ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়- এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। সেই সঙ্গে তিনি এ ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তৃতা বা বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। আলাপ-আলোচনা করে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা ধর্ম-কর্ম যে যেটাই করি না কেন, যার যার ধর্ম তাকে পালন করার সুযোগ করে দিতে হবে। প্রত্যেক ধর্মেই বলা আছে ভালো মানুষ যেন হতে পারি।

গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।

এছাড়াও এক মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, যে কোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া’ হবে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) মামুনুল হক আবারও তার ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থান তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নেতা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন মরহুম মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। কখনও কোনোভাবে এমন একজন প্রয়াত মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচারণ করি না এবং করাকে সমীচীনও মনে করি না। আবারও স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের বক্তব্য ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়।

এদিকে হেফাজতের হুমকির মুখে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.