ব্যস্ততম সীমান্ত সড়ক নদীগর্ভে বিলীন বিজিবি সহ লক্ষাধিক জনতার দুর্ভোগ
নেজাম উদ্দিনঃ
নাইক্ষংছড়ি-কচ্ছপিয়া-দৌছড়ি প্রধান সড়কের কচ্ছপিয়া দোছরী নারিকেল বাগান ষ্টেশনের পূর্ব পাশ নদী গর্ভে বিলীন। এই সড়ক দিয়ে বিজিবি সহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত।কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি ব্যবসায়ীক, উৎপাদন ও রাজস্বখাতের এলাকা হলো দোছরী গ্রাম এবং সড়কের শেষ ভাগে উল্লেখযোগ্য রাজস্বখাত ইউনিয়ন হিসেবে অবস্থিত পার্বত্য এলাকার দৌছড়ি ইউনিয়ন। যেখানে সীমান্ত রক্ষায় একটি লেমুছড়ি বিজিবি ক্যাম্প সহ ৭/৮টি ফাঁড়ির অবস্থান। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের অফিস সহ অসংখ্য স্কুল।লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের অন্যতম স্থান। যার ফলে এই সীমান্ত সড়কটি হয়ে উঠে অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ।এই স্থানে ২০১৫ সালে ভাংগন দিলে স্থানীয় জনতা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসে তদবির শুরু করে দেন দ্রুত আশু ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন নিয়ে।মেরামতের জন্যে তদবির সময়ে মধ্যে সড়ক টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরফলে পার্বত্য এলাকার মানুষের দূর্ভোগ শংকায় প্রথমে ছুটে যান নাইক্ষংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভাংগনের ভয়াবহতা সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ে জানান, এবং এই ভাংগন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার দুই জেলা প্রশাসক এবং বিজিবির বিভাগীয় কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেন ভাংগন স্থানে।সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এই ভাংগনের ভয়াবহতা অবলোকনে জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কে। এর মাস খানেকের মধ্যে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বল্লিস্পার দিয়ে মাটি ভরাট করে মেরামতে ক্ষনিকের দূর্ভোগ লাগব হলেও তা স্থায়ী রূপ দিতে দেয়নি নদীর রাহুগ্রাসে। এই সীমান্ত সড়কের ভাংগনকৃত অংশে পরিকল্পিত ও স্থায়ী প্রটেকশন না হওয়ায় গেল বছর আবার রাক্ষুষে নদীর কবলে পড়ে সড়কটি। শুরু হয় ভাংগন, তা ধীরে ধীরে বড় আকার ধারন করে এবং গেল ৬ ই জুলাই বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। তখন মেরামতের ব্যবস্হা না নেওয়ায় ভারী বৃষ্টি বর্ষনের ফলে ২৪ জুলাই এই ব্যস্ততম সড়কটি সম্পূর্ণ রূপে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে নদীতে রূপ নেয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এতদঞ্চলের মানুষের যাতায়াত।নেমে আসে অসহনীয় দূর্ভোগ। বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনযাত্রা প্রায় অচল বিশাল জনগোষ্ঠীর। কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে, রাজস্ব আদায়ে বিঘ্নতা ও সীমান্তের অসংখ্য বিজিবি সদস্যের রেশন সরবরাহ, নিয়মিত টহল বন্ধ হওয়ার অবস্থা বল্লেই চলে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের অবর্ণনীয় দূর্ভোগের দৃশ্য খুবই বেদনাদায়ক।ভাংগন অংশ দ্রুত পুনঃনির্মান করলে জীবনযাত্রা সাবাভিক হবে। যদি দ্রুত ব্যবস্হা নেওয়া না হয় তাহলে সড়কের ভাংগন অংশের একশ গজ পশ্চিমে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দীর্ঘ গার্ড়ার সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে এবং সড়ক পুনঃনির্মান ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। তখন বিশাল জনগোষ্ঠী স্থায়ী দু্র্ভোগে নিমজ্জিত, রাজস্ব আদায়ে বিঘ্নতা ও দীর্ঘ সীমান্ত রক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ অবধারিত। এব্যাপারে জানতে চাইলে কচ্ছপিয়া নাগরিক সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম টিপু বলেন এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সাথে দুই উপজেলার মানুষ সম্পৃক্ত তাই উভয় উপজেলার সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধিদ্বয় যৌতভাবে চেষ্টা করলে সীমান্ত সড়কটির ভাংগন অংশ পুনঃনির্মান সহজ বা বাস্তবায়ন হবে। সড়কটি পুনঃনির্মান পূর্বক জীবনযাত্রা সাবাভিক করে দেওয়ার জন্যে সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.