বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ মফিজুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী আজ

বার্তা পরিবেশকঃ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও তৎকালিন বৃহত্তর ,জোয়ারিয়ানালা , এলাকার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ¦ শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরীর ৩৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ১৯৮৫ সালে ২৩ জুলাই তিনি মৃত্য বরণ করেন। ৩৬তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গর্জনিয়া শাহ বদর আউলিয়া (রঃ) মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম করা হয় । পরে মরহুমের আতœার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

তৎকালিন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদার ছিল বলে এলাকার মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ড়াকে সাড়া দিয়ে তৎকালিন সময়ের দক্ষিণ চট্রগ্রামের (কক্সবাজার- বান্দরবান) মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বপালনকারি ক্যাপ্টেন আব্দু সোবাহান চৌধুরীর পাশে থেকে মুক্তিযুদ্ধাদের খাদ্যসামগ্রী, অস্ত্রসহ বিভিন্ন রসদপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন। তিনি কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকার মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংঠক বলে জানান তৎকালিন দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন আব্দু সোবাহান চৌধুরী।

তিনি তৎকালিন বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালা পানিরছড়াস্থ নাসিরাপাড়া এলাকায় মুসলিম সভ্রান্ত পরিবারে ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার মরহুম মওলানা আলী আকবর, মাথা- নছিমা বেগম।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে ব্রিটিশ সরকার আমলে বনবিভাগের সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কথা চিন্তা করে এলাকায় জনহিতকর কাজে নেমে পড়েন।পরে তিনি চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। তিনি একাধারে সমাজ সংস্কারক ও একজন আওয়ামীলীগের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।
মুলত তিনি রাজনৈতিক মূলধারায় আসেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ড়াকে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
১৯৬৬ সালে ৬দফা দাবি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভুমিকা রাখেন । তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও পাকিস্তান বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে মুক্তিকামি মানুষদের সংগঠিত করতে থাকেন।
ঐ সময় জোয়ারিয়ানালা সেতু অপারেশন, ঈদগাহ সেতু অপারেশনসহ বিভিন্ন অপারেশনে ক্যাপ্টেন আব্দু সোবাহানের সাথে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।
্মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আলহাজ¦ শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরীর সুযোগ্য কনিষ্ঠ কন্যা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজার জেলা সভাপতি নীলিমা আক্তার চৌধুরী জানান, আমরা শুনেছি আমার বাবাকে যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকবাহিনীরা ধরে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান মরহুম ওসমান সরওয়ার চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধের কক্সবাজার ও বান্দরবানের দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন আব্দু সোবাহন কোথায় আছে ও মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানা কোথায়, তা জানার জন্য অমানুষিক অত্যাচার চালানোর পরেও তিনি মুখে খুলেননি। পরে থাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করে এবং পানিরছড়া এলাকার পাকবাহিনীর সহযোগিকে (স্থানীয় রাজাকার)উনাকে সরিয়ে চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে দেন পাকবাহিনীরা।
তিনি একাধারে সমাজ সংস্কারক ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। আমার বাবা তৎকালিন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক রাষ্ট্রদূত আলহাজ্ব মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর একান্ত সহযোদ্ধা ছিলেন।
করোনা শীতিল হলে মরহুম আলহাজ্ব শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরীর স্বরণে এক স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মরহুমের পরিবার।

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.