আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর বিশেষ ব্যবস্থায় হজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
রোববার (৯ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হজ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পদ্ধতিতে এবং কোন কোন শর্ত মেনে হজের আয়োজনে অংশ নেওয়া যাবে; সে বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালেও বৈশ্বিক মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে কেবলমাত্র সৌদি আরবের অধিবাসীদের প্রবেশাধিকার রেখে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল দুই কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এবং ভাইরাসটির দ্রুত সংক্রমণক্ষম নতুন নতুন ধরন শনাক্তের কারণে দেশে এ মহামারীর বিস্তার রোধে এ বছরও বিদেশ থেকে কাউকে হজে যাওয়ার অনুমিত না দেওয়ার বিষয়টি সৌদি প্রশাসন বিবেচনা করছে।
এদিকে, মুসলিমদের সামর্থসাপেক্ষে অবশ্যপালনীয় ধর্মীয় আচারের অন্যতম হজ। করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিবছর ২৫ লাখের বেশি মানুষ হজের আয়োজনে অংশ নিতেন।
এছাড়াও, ওমরাহ পালন করতে নানান দেশ থেকে সারা বছরই হাজার হাজার মুসলিম সৌদি আরবে গিয়ে থাকেন। হজ থেকে সৌদি আরব প্রতিবছর প্রায় এক হাজার দুইশ’ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে।
প্রসঙ্গত, সাত মাস বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের অক্টোবরে ওমারাহ পালনের জন্য সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম খুলে দেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর গত মার্চে সৌদি আরব সরকার বলেছিল, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন কেবলমাত্র তাদেরকেই হজের অনুমতি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া এবং সেগুলো মোকাবিলায় বর্তমানে বাজারে থাকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষকে। অচিরেই হজ পালনের সিদ্ধান্ত তারা জানিয়ে দেবেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.